নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেফতার হাতুড়ে। ধৃতের নাম জাহাঙ্গির আলম (৪৫)। তার বিরুদ্ধে ‘ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টে’ মামলা রুজু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানান, অস্ত্রোপচার করার অপরাধে একজন হাতুড়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নিয়মমাফিক বৈষ্ণবনগরের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে যায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ নজরদারি দল। সেই সময় হঠাৎ তাঁরা একটি নার্সিংহোমে ঢুকে পড়েন। সেখানে যাওয়ার পর বিশেষ নজরদারি দলের সদস্য এবং আধিকারিকরা নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটার দেখতে চান। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, সেখানে একজন চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করছেন। চিকিৎসকের নাম কী, কিসের অস্ত্রোপচার চলছে, জানতে চায় বিশেষ নজরদারি দল। যার সদুত্তর দিতে পারেনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর এতেই সন্দেহ হয় পরিদর্শক দলের। নজরদারি চালানোর সময় স্থানীয় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ তাঁদের সঙ্গেই ছিল। কাজেই সময় নষ্ট না করে নিজেদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা অন করে সোজা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে যায় দলটি।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানান, ওটিতে ঢুকতেই দেখা যায় স্থানীয় এক হাতুড়ে রোগীর অপারেশন করছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। টিমের সঙ্গে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলেই অভিযুক্ত হাতুড়েকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্ত হাতুড়ে বছর তিনেক আগে একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল বলে পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সে জামিনে মুক্তি পায়। কিন্তু গ্রেফতার হলেও তার মানসিকতার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই একই কাজ করে ফের পুলিশের জালে পড়েছে।