• ছাব্বিশে বিজেপির মাদারির খেলা শেষ হয়ে যাবে, কটাক্ষ উদয়নের
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, রাজগঞ্জ: বিজেপি মাদারির খেলা দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ছাব্বিশের ভোটের ফল বেরলেই ওদের এই খেলা শেষ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর কটাক্ষ, হাটেবাজারে, কাছারির সামনে অনেক সময় মাদারির খেলা হয়। ওই খেলা দেখতে কিছু মানুষ ভিড় জমান। কিন্তু যখনই পয়সা চাওয়া হয়, ধীরে ধীরে ভিড় হালকা হতে থাকে। বিজেপি যতই মাদারির খেলা দেখানোর চেষ্টা করুক না কেন, ভোটের ফল বেরলেই বুঝতে পারবে, ওদের পাশে লোক নেই।

    যদিও মন্ত্রীর কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা তোপ দেগেছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আর মৃত ভোটারের ভোটে জেতার স্বপ্ন এবার যেন ভুলে যায় তৃণমূল। ছাব্বিশে ভারতীয়দের ভোটেই সর্বত্র পদ্মফুলের প্রার্থীরা জয়ী হবেন।

    জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের বিএলএ-২রা এসআইআরের কাজকর্ম কেমন করছেন, দলের তরফে তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উদয়ন গুহকে। ওই কাজেই বুধবার থেকে জেলায় রয়েছেন তিনি। এদিন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, রাজগঞ্জ ও জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা এলাকায় ঘুরে দলের বিএলএ-২দের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। একজন ভোটারও যাতে ইনিউমারেশন ফর্ম বাড়িতে ফেলে না রাখেন, দলের কর্মীদের তা দেখতে বলেন তিনি। আগামী দু’দিনের মধ্যে জেলায় ১০০ শতাংশ ইনিউমারেশন যাতে জমা পড়ে, তা দলের বিএলএ-২দের নিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। রাজগঞ্জে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়, জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ, সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব। 

    তৃণমূলের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসে মন্ত্রীকে দলের কর্মীরা জানান, এমন অনেক ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেও তাঁরা ভোট দিয়েছেন। অথচ ২০২৫ সালের তালিকায় তাঁদের নাম নেই। ফলে তাঁরা ইনিউমারেশন ফর্ম পাননি। এনিয়ে মহকুমা শাসক ও জেলাশাসককে চিঠি লিখে বিষয়টি জানতে চাওয়া হোক বলে দলের জেলা নেতৃত্বকে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। কয়েকটি বুথে তৃণমূলের বিএলএ-২ হিসেবে যাঁরা দায়িত্বে, তাঁরা ঠিকমতো কাজ করছেন না বলেও এদিন মন্ত্রীকে জানান দলের কর্মীরা। তিস্তার চর এলাকায় একাধিক বুথে ৫০০ ইনিউমারেশন ফর্ম এখনও ভোটারের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান দলের কর্মীরা। এসব নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে এদিন আলোচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, দলের কোনও বিএলএ যদি ঠিকমতো কাজ করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে তাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। এনিয়ে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। 
  • Link to this news (বর্তমান)