ফর্ম আপলোড নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক সারলেন মন্ত্রী বেচারাম, বেশ পিছিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: বৃহস্পতিবার তমলুক, খেজুরি, পটাশপুর ও এগরায় ‘দিদির দূত’ অ্যাপে এসআইআর ফর্ম আপলোড নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক সারলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ওই কাজে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বেশ পিছিয়ে। সেজন্য কাজে অগ্রগতি আনতে মন্ত্রীকে জেলার কো-অর্ডিনেটর করে পাঠিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার সকালেই জেলায় চলে আসনে বেচারামবাবু। তারপর ময়না, তমলুক, হলদিয়া ও কাঁথিতে বৈঠক সারেন। বৃহস্পতিবার সকালে তমলুক ব্লকের নিমতৌড়িতে ওই কাজে যুক্ত দলের কর্মীদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। সেখানে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ছাড়াও বিধায়ক তথা বিএলএ-১ তিলক চক্রবর্তী, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায়, প্রবীণ নেতা চিত্ত মাইতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর খেজুরি বিধানসভার ইড়িঞ্চিতে তিনি বৈঠক করেন। সেখানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক উত্তম বারিক, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা প্রমুখ ছিলেন। গোটা বিধানসভার দিদির দূত অ্যাপসে কাজের যুক্ত কর্মীদের প্রত্যেকে দ্রুত আপলোডের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর মন্ত্রী যান পটাশপুরে। সেখানে পটাশপুর বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক করেন। পটাশপুরের ওই বৈঠক শেষ করে বেচারামবাবু এগরায় যান। এগরা শহরে ওই বিধানসভার এলাকার কর্মীদের নিয়ে ‘দিদির দূত’ অ্যাপে ফর্ম আপলোড নিয়ে মিটিং চলে। বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মহিষাদল, কোলাঘাটের মতো ব্লকে ‘দিদির দূত’ অ্যাপের ৯২ শতাংশ কাজ হলেও তমলুক ব্লকে মাত্র ৫৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। বেশকিছু বুথে এখনও কাজ শুরুই হয়নি। এদিন জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় অনন্তপুর-১ ও ২বেশ বেশকিছু অঞ্চল সভাপতিকে দাঁড় করিয়ে পিছিয়ে থাকার জন্য ভর্ৎসনা করেন। অ্যাপে কাজ ঠিকমতো না করতে পারলে দল রেয়াত করবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
বেচারামবাবু বলেন, ভোটরক্ষার কর্মসূচিকে সফলভাবে রূপায়ণ করতে হবে। কিছু ব্লকে ওই কাজে আরও গতি আনতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। সেজন্য প্রতিটি বিধানসভায় গিয়ে ওই কাজে দায়িত্বপ্তাপ্তদের নিয়ে মিটিং করা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য টার্গেট দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কোথায় সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে।
জেলা সভাপতি সুজিতবাবু বলেন, কিছু বুথে সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং কয়েকজনের গোয়ার্তুমির কারণে দিদির দূত অ্যাপে কাজই শুরু হয়নি। আর এনিয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে আমরা রোজ বকাঝকা খাচ্ছি। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে তমলুক ব্লককে ৯০শতাংশ কাজ করতে হবে। কীভাবে হবে, সেটা দায়িত্বপ্রাপ্তদের বসে ঠিক করতে হবে। - নিজস্ব চিত্র