শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বাসনপত্র ও চাল চুরির অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে স্কুলের সামগ্রী সহ চাল চুরি করে নাকি টোটোতে করে নিয়ে পালাচ্ছিলেন খোদ শিক্ষিকা। এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয় গ্রাম। বাসিন্দারা ঘিরে ধরেন ওই শিক্ষিকাকে। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। স্কুলের মিড ডে মিলের বাসনপত্র কেন চুরি করা হচ্ছে, তা নিয়ে শিক্ষিকার সঙ্গে বচসা শুরু হয়। যদিও শিক্ষিকা সবটাই অস্বীকার করেছেন। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন।
কাটোয়ার এসডিও অর্নিবাণ বসু বলেন, কেউ আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। তবুও আমি বিডিওর থেকে রিপোর্ট নিয়ে ঘটনার তদন্ত করব।
কাটোয়া-১ ব্লকের শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েতের গাঙ্গুলিডাঙা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ১৩০ জন পড়ুয়া রয়েছে। সেখানে ৯ জন মিড ডে মিল রান্না করেন। আর একজন মাত্র শিক্ষিকা রয়েছেন। কৈথন গ্রাম থেকে আঞ্জুনারা বেগম আসেন পড়াতে। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, প্রতিদিন মিড ডে মিলের বাসনপত্র নাকি কমে যাচ্ছে। পড়ুয়াদের ব্যবহারের থালা, বাসনপত্রের সঙ্গে শতরঞ্চি, পোস্টার-ব্যানার এসব উধাও হয়ে যাচ্ছে। এমনকি মিড ডে মিলের চালও চুরি হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা নাকি টোটোতে চাপিয়ে এসব জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছেন। তাই এদিন কয়েক শ’ বাসিন্দা তাঁকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন।
অভিভাবক মর্জিনা বিবি বলেন, আমি নিজের চোখে দেখেছি ওই শিক্ষিকা জিনিসপত্র চুরি করে টোটোতে করে নিয়ে পালাচ্ছে। কিছু বলতে গেলেই আমাকে স্কুলের সীমানায় আসতে নিষেধ করছে। অথচ স্কুলে আমাদের বাড়ির ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। স্থানীয় বাসিন্দা সেন্টু রহমান শেখ, জিয়াবুল শেখ বলছেন, সবাই দেখেছে চুরি করতে। আমরাও চাইছি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখুক প্রশাসন। স্কুলের সামগ্রী কেন চুরি করে নিয়ে যাওয়া হবে। তাছাড়া স্কুলে আগে ৩০০ জন পড়ুয়া পড়াশুনা করত। এখন ওই শিক্ষিকার জন্যই পড়ুয়া সংখ্যা কমে গিয়েছে। আগে স্কুলটিতে চারজন শিক্ষিকা ছিলেন। এখন তাঁরা একের পর এক অবসর নিতেই একজনে এসে ঠেকেছে।
যদিও এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন শিক্ষিকা আঞ্জুনারা বেগম। তিনি বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি চুরি করছি প্রমাণ দিক। আজকে স্কুলের কিছু পুরানো কাগজ ফেলে দিয়েছি। আর পুরনো ওভেনটা বদলে অন্য একটা ওভেন এনেছি। এসব দেখেই বলছে আমি নাকি চুরি করেছি। যদিও এদিন চুরির কোনও লিখিত অভিযোগ পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জমা দেননি গ্রামবাসীরা। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। -নিজস্ব চিত্র