• কাটোয়া, পূর্বস্থলীতে সারের অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় ক্ষোভ
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: আলু চাষের মরশুমের শুরুতেই কাটোয়া, পূর্বস্থলীজুড়ে সারের দাম বেশি নেওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কোথাও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২০০টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও সারের সঙ্গে অনুখাদ্য নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। চাষিদের অভিযোগ, কৃষিদপ্তরের নজরদারির অভাবে অনেক সার ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামের তুলনায় বেশি টাকা নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসও মঙ্গলবার কাটোয়ার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছে। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা এবিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে কৃষিদপ্তরের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলা হবে বলে কাটোয়ার মহকুমা শাসক জানিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে প্রতিবছর ৭০-৭২হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়। তার মধ্যে কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লকে প্রায় তিনহাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয় জ্যোতি, চন্দ্রমুখী ও পোখরাজ আলু। তবে জ্যোতি আলুর চাষই বেশি হয়। পূর্বস্থলী-২ ব্লকে প্রায় ৫০০-৬০০হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভা, কালেখাঁতলা ১ ও ২ পঞ্চায়েতে কৃষকরা জ্যোতি আলুই বেশি চাষ করেন। বিশ্বরম্ভার চাষি ভগীরথ মণ্ডল বলেন, আমি ১৭বিঘা জমিতে জ্যোতি আলু চাষ করেছি। এবার বীজের দাম কমেছে। কিন্তু ডিএপি, পটাশ, ১০২৬-এসমস্ত সারের দাম ২০০টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। কৃষিদপ্তরের নজরদারির অভাবে বেশকিছু সার বিক্রেতা কালোবাজারির সুযোগ পাচ্ছে। অপর চাষি বিমল দাস বলেন, এমনিতে আলু চাষে খুব একটা লাভ থাকে না। বিঘা প্রতি ২৫-২৭হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। তার উপর সারের দাম এত বেশি হলে কীভাবে চাষ করব? গতবছরও চাষ করে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। মঙ্গলবার কাটোয়ার কংগ্রেস নেতা জগদীশ দত্ত, কাউন্সিলার রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যরা মহকুমা শাসকের অফিসে লিখিত অভিযোগ জানান। রণজিৎবাবু বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে সারের অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে। অনুখাদ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু আলু চাষে ওই অনুখাদ্যের প্রয়োজনই নেই। এক সার বিক্রেতা বলেন, সারের সঙ্গে অনুখাদ্য কোম্পানি থেকেই আমাদের নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু চাষিরা অনুখাদ্য নিতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে আমাদের সারের সঙ্গেই অনুখাদ্যের দাম ধরে নিতে হচ্ছে। কোনও কালোবাজারি চলছে না।
  • Link to this news (বর্তমান)