নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আজ শুক্রবার বিশ্বভারতীর আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনে এক মহা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আন্দামান নিকোবর দীপপুঞ্জ সহ পূর্ব ভারত এবং উত্তর পূর্ব ভারতের মোট ১৩টি রাজ্যের প্রায় ৩৭৭টি মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এই সম্মেলন হবে। এরকম একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের আজ উপস্থিত থাকার কথা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ বলেন, ইউজিসি এই প্রথমবারের জন্য এরকম একটা কর্মযজ্ঞ বিশ্বভারতীতে করতে চলেছে। সম্মেলনের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। ১৩টি রাজ্যের স্বশাসিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকবেন। সূত্রের খবর, ‘বিকাশ-২০২৫’ শীর্ষক এই সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে একই মঞ্চে এনে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কীভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই নিয়েই বিশদে আলোচনা হবে।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, এদিনের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডঃ এম জগদীশ কুমার। জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরিতে যাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। বক্তব্য রাখবেন, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিভিইটি)-র অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডঃ নির্মলজিৎ সিং, ইউজিসির সেক্রেটারি মনীশ যোশি প্রমুখ। সম্মেলনের আগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের যুগ্ম সচিব অবিচল রাজ কাপুর। অবিচলবাবুর সামনেই কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।