• জুয়েলারি সংস্থার কর্মীকে বেআইনিভাবে থানার মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জুয়েলারি দোকানের তথ্য বিক্রির অভিযোগে এক কর্মীকে থানায় বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। প্রগতি ময়দান থানার বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে এমনই অভিযোগ এনেছেন আইনজীবীরা। কেন ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে আনা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এরপরই কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রগতি ময়দান থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে বলেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি জুয়েলারি শপ কাম ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট রয়েছে। তারা অলঙ্কার বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন নামী দোকানের গয়না ডিজাইন অনুযায়ী তৈরি করেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সোনার বাট কিনে থাকে। তাদের শেয়ারও রয়েছে। এখানেই কাজ করত অভিযুক্ত কর্মচারী কৌশিক। দোকান মালিকের অভিযোগ, এই কর্মী জানত কোথা থেকে সোনা কেনা হয়, কারা তাঁদের ক্লায়েন্ট, অডিট রিপোর্টে কত টাকার টার্নওভার রয়েছে এই সংক্রান্ত তথ্য। এগুলি দেখভালও করত ওই কর্মী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য সে তাঁদের প্রতিপক্ষ কোম্পানিগুলিকে বিক্রি করেছে। যার ফলে জুয়েলারি সংস্থার ক্ষতি হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। শেয়ারে একধাক্কায় নেমে গিয়েছে। তথ্য বিক্রির বিনিময়ে সে প্রায় তিন কোটি টাকা পেয়েছে। ২৫ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করে ওই জুয়েলারি কোম্পানি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু  হয়। বুধবার কৌশিককে গ্রেফতার করা হয়। 

    বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে কৌশিককে তোলা হলে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সুব্রত সর্দার ও সৌরভ দাস বলেন, তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। ২৫ নভেম্বর অভিযোগ হওয়ার পর ওইদিন বিকেল পাঁচটায় জুয়েলারি দোকান থেকে তুলে আনা হয় কৌশিককে। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কৌশিককে থানায় আটকে রাখা হয়। তারপরও গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এরপর বুধবার গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে তুলেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি আইনজীবীদের। কৌশিককে ২৫ তারিখ আটক করা হয়েছে তার প্রমাণস্বরূপ থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আদালতে কাছে জমা দেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। এমনকি জেনারেল ডায়েরিতে আটকের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে কি না, সেই প্রসঙ্গও তোলেন। সরকারি আইনজীবী সাজ্জাদ খান বলেন, সমস্ত কিছু কেস ডায়েরি ও জেনারেল ডায়েরি বুকে উল্লেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে বেআইনিভাবে আটক করা হয়নি তাকে। সওয়াল শেষে অভিযুক্তকে পুলিশি হেপাজতে পাঠালেও আদালত থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)