• বউবাজারে খুনে ১০ বছর পর দোষী সাব্যস্ত, আজ সাজা ঘোষণা
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০১৬ সালে বউবাজার থানা এলাকায় প্রকাশ্যে বড় একটি রামদা দিয়ে এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনার প্রায় দশ বছর পর জেল হেপাজতে থাকা অভিযুক্ত রামেশ্বর সাহানি ওরফে পাইলটকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,  কলকাতার বিচারভবনের বিশেষ আদালতের বিচারক রোহন সিনহা ওই খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন যুবককে। আজ, শুক্রবার বিচারক সাজার মেয়াদ ঘোষণা কররেন।

    এই মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি টুলটুল দে বলেন, আমরা সরকার পক্ষ থেকে অপরাধীর কড়া সাজার দাবি জানিয়েছি। যেভাবে রাজপথে এক যুবককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়, তা ভাবলে শিহরিত হতে হয়। আদালতে রক্তাক্ত রামদাটিও পেশ করা হয়। সরকারি আইনজীবী জানান, এই মামলার শুনানি চলাকালে কয়েকজন সাক্ষীকেও ভয় দেখানো হয়। পরে বিষয়টি পুলিশ আদালতের নজরে আনে।  আদালত সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বউবাজার থানার অনকূল চন্দ্র স্ট্রিটে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ব্যবসায়িক লেনদেনকে ঘিরে বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে। খুনের কিছুদিন আগে বড় রামদাটি তৈরির জন্য বরাত দেওয়া হয়েছিল এক ব্যবসায়ীকে। সেটি হাতে পাওয়ার পর ঘটনার দিন দুপুরে বুদ্ধদেব সাহা ওরফে বাবুলাল নামে ওই যুবককে ডেকে পাঠায় পাইলট নামে ওই ব্যক্তি। সেখানে আসার পর তাঁর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তারই মধ্যে কিছু বোঝার আগেই আচমকা পাইলট উঠে গিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে লুকিয়ে রাখা রামদাটি নিয়ে পিছন দিক থেকে ওই যুবককে কোপ দেয়। টুল থেকে পড়ে যেতেই তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে পাকড়াও করে অভিযুক্ত পাইলটকে। তাকে জেরা করে উদ্ধার হয় রক্তমাখা রামদাটিও। মামলায় সাক্ষ্য দেন ২৪জন।
  • Link to this news (বর্তমান)