• দুই এলাকায় রাস্তা-নিকাশি উন্নয়নে কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সেই ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত। কিন্তু এখনও অঞ্চলের কোথাও নেই পাকা রাস্তা, কোথাও আবার এখনও রয়েছে খোলা নর্দমা। কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত হয়েও কাশীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে নাগরিক ভোগান্তি রয়েছে। সেই সব সমস্যা সমাধানে তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তা এবং ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা। এতে উপকৃত হবেন কাশীপুরের দু’টি অঞ্চলের প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা।

    কাশীপুর অঞ্চলের গোপাল চ্যাটার্জি রোড স্বাধীনতার পর থেকেই প্রায় কাঁচা অবস্থাতেই ছিল, তেমনটাই দাবি এলাকাবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, কোনওদিন পিচের মুখ দেখেনি রাস্তাটি। ফলে, বৃষ্টির সময় কাদা প্যাচপ্যাচে পরিস্থিতিতে হাঁটা দায় হয়ে পড়ে। সেখানেই নতুন করে তৈরি হচ্ছে পিচের রাস্তা। চওড়া হচ্ছে পথ। স্থানীয় বাসিন্দা নিখিলরঞ্জন রায় বলেন, এই চত্বরে এত পুরনো বাড়ি রয়েছে। হাউজিং প্রোজেক্ট রয়েছে। কিন্তু জীবনে এই রাস্তা পাকা হয়নি। কয়েক দশক পর এই কাজ হচ্ছে দেখে ভালোই লাগছে। এবার অন্তত বর্ষাকালে রাস্তায় হাঁটতে সমস্যা হবে না।

    অন্যদিকে, কাশীপুর অঞ্চলেই রয়েছে প্রাণনাথ শূর লেন। কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোনও এলাকায় এখনও যে খোলা নর্দমা রয়েছে, তা ভেবে অবাক হবেন অনেকেই। এই রাস্তায় নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে। খোলা নর্দমা বুজিয়ে ভূগর্ভস্থ নিকাশি পাইপলাইন বসানো হবে। তারপর নতুন করে তৈরি হবে চওড়া রাস্তা।

    স্থানীয় কাউন্সিলার কার্তিক মান্না বলেন, কোনওদিন পাকা রাস্তা হয়নি এখানে। একদম কাঁচা রাস্তা ছিল। তাই নতুন পাকা রাস্তা তৈরি হচ্ছে। ৫০ বছর ধরে এই রাস্তা কেউ পাকা করার কথা ভাবেননি। মেয়র ফিরহাদ হাকিম অনেক সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ বরাদ্দ করে আলাদা করে টাকা এনে এই কাজগুলি করাতে হচ্ছে। নতুন রাস্তা তৈরি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। নর্দমার কাজও শুরু হয়েছে। খোঁড়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নিকাশির জন্য পাইপলাইন বসানো হবে। তাঁর কথায়, এগুলি এখানকার বাসিন্দাদের কয়েক দশকের দাবি ছিল। কলকাতার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত হলেও সেখানে কাঁচা, খোলা ড্রেন! স্বাধীনতার এত বছর পরেও! ধাপে ধাপে এই উন্নয়নের কাজগুলি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই কাশীপুর মেইন রোডেও সার্বিক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)