এই সময়: রাজ্যে ‘সার’ প্রক্রিয়ার কাজ সম্পূর্ণ হতে আরও এক সপ্তাহ বাকি। তার আগে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কলকাতা এবং জেলা মিলিয়ে ৮২.৯১ শতাংশ অর্থাৎ ৬ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৭১টি এনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ়ড হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ হাজার প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি বিএলও নিজেদের কাজ শেষ করে ফেলেছেন। সারা রাজ্যের হিসেব ধরলে শুধুমাত্র পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ। সিইও দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, উত্তর কলকাতায় মাত্র ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র থাকলেও সেখানে ৫৮ শতাংশ ডিজিটাইজে়শন হয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতায় মাত্র চারটি বিধানসভা কেন্দ্র থাকলেও কাজ হয়েছে ৬৪ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনা, কালিম্পং–এ ৭৫ শতাংশ এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৭০ শতাংশ ডিজিটাইজে়শন হয়েছে। সেখানে পূর্ব বর্ধমান ৮৮ শতাংশ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া ৮৫ শতাংশের বেশি কাজ করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবারই ডিজিটাইজে়শনের কাজে উত্তর কলকাতা,দক্ষিণ কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার পিছিয়ে থাকা ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও ও এইআরওদের নিয়ে বৈঠক করে সময়ের মধ্যে কি করে কাজে গতি আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয় সিইও দপ্তরে।
নির্বাচন দপ্তর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিএলও অ্যাপের সার্ভারে সমস্যার কারণে টানা ১৬ ঘণ্টা এনিউমারেশন ফর্ম আপলোড করা যায়নি। কসবা, বালিগঞ্জ, যাদবপুর, হাওড়ার উলুবেড়িয়া সহ রাজ্যের একটা বড় অংশের বিএলওরা দুপুর তিনটে পর্যন্ত ঠায় বসে থাকেন। গোটা বিষয়টি নজরে আসা মাত্র রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের(সিইও) দপ্তর থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়।
কমিশন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিএলও অ্যাপে এডিট অপশন ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে ডিজিটাইজ়েশনের সময়ে বা পরে এনিউমারেশন ফর্ম আপলোড করার পাশাপাশি ভোটারের দেওয়া কোনও ভুল তথ্য থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ পাবেন সংশ্লিষ্ট বিএলও। কমিশন প্রথমে বিএলও অ্যাপে এডিট অপশন না দিলেও পরে চাপের মুখে তা দিতে বাধ্য হয়। ভোট কর্মী ঐক্য মঞ্চের অভিযোগ, বিএলএদের চাপে বহু জায়গায় বিএলও–রা ভুল তথ্য ডিজিটাইজ়ড করছিল। যেহেতু এডিট অপশন ছিল না তাই তা সংশোধন করা যাচ্ছিল না। এখন বিএলওরা ডিজিটাইজ়ড হয়ে যাওয়ার পরেও তথ্য সংশোধন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়াল বলেন, ‘সার্ভার সমস্যা নিয়ে বিএলওদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। হাতে অনেক সময় রয়েছে। যে সব বিধানসভা কেন্দ্রে বিএলও–রা ডিজিটাইজ়েশনের কাজে পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁদের কাজে গতি আনতে বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও যে বিএলও–রা কাজ শেষ করে ফেলেছেন, প্রয়োজনে পিছিয়ে থাকা বিএলওদের সাহায্য করতে তাঁদের ব্যবহার করা হতে পারে।