পাক জেলে বাংলার মৎস্যজীবীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে তুলকালাম। পূর্ব মেদিনীপুরের বামুনিয়ার পাইকবার গ্রামের বাসিন্দা ওই মৎস্যজীবী। নাম স্বপন রানা। দুই বছর আগে পাক জলপুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলবন্দি হন তিনি। সম্প্রতি জেলে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। পাকিস্তানের জেল থেকে মৎস্যজীবীর দেহ ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে পরিবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পাকিস্তানের তরফে দিল্লিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খবর।
পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুই আগে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন স্বপন রানা। অনিচ্ছাকৃতভাবে জলসীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন তিনি। এরপরেই পাকিস্তানের জল পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। দীর্ঘ দুই বছর পাকিস্তানে জেলবন্দি ছিলেন তিনি। পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, স্বপন রানার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। বন্দিদশায় তাঁর চিকিৎসা, নিরাপত্তা ঠিক ছিল কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
Advertisement
স্বপন রানার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান আমিন সোহেল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্বপন রানা আমাদের মৎস্যজীবী সমাজের একজন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারকে একা থাকতে দেব না। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা সবরকম সাহায্য করব।‘
জেলা প্রশাসনের তরফে শনিবার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। সরকারি উদ্যোগে স্বপন রানার দেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেহ পাঠানো হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে পাকিস্তান। স্বপন রানার মৃত্যুর নেপথ্যে স্বাস্থ্যজনিত অবনতির কথা বলা হয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ পরিবার।