বাংলাদেশ ঝুঁকেছে পাক-চিনের দিকে! ‘চিকেনস নেকে’ নতুন সামরিক ঘাঁটি ভারতের
প্রতিদিন | ৩০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে তৎপর সেনাবাহিনী। যেকোনও রকম অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সেনা। অন্যদিকে, লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) প্রধান হাফিজ সইদ বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের একটি নতুন ফ্রন্ট খোলার পরিকল্পনা করছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের ‘চিকেনস নেকে’র সুরক্ষা নিয়ে বাড়তি সতর্ক সেনা।
জানা গিয়েছে, এবার শিলিগুড়ি করিডোর বরাবর সেনার তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে তিনটি নতুন সামরিক ব্যবস্থা গড়ে উঠছে, যা নয়াদিল্লির কৌশলগত অবস্থানে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ধুবড়ির কাছে বামুনি, কিষণগঞ্জ এবং চাপড়ায় তিনটি সামরিক ঘাঁটি তৈরির কাজ চলছে। সেই কাজের গতি বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধুবরির কাছে লচিত বরফুকন মিলিটারি স্টেশন, বিহারের কিষাণগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়ায় অবস্থিত অগ্রণী ঘাঁটিগুলি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নয়। এই ঘাঁটিগুলিতে দ্রুত মোতায়েন করার জন্য বাহিনী রয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা ইউনিট এবং প্যারা স্পেশাল ফোর্সেস রয়েছে এই কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলিতে। এই ঘাঁটিগুলি এমনভাবে সাজাচ্ছে সেনা, যেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে এই করিডোরের সুরক্ষা নিয়ে আপোশ করতে রাজি নয়।
ভারত এই অঞ্চলের সুরক্ষায় রাফালে যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এই অঞ্চলটির প্রতিরক্ষার পাশাপাশি, এই এলাকাকে আক্রমণের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই ঘটনা বাংলাদেশের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শিলিগুড়ি করিডোর এখন আর সেনার জন্য কোনও দুর্বল এলাকা নয়। সেনা একই এলাকাকে একটি সুরক্ষিত কৌশলগত সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলেছে।
কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য বাড়াচ্ছেন ইউনুস। ঢাকায় পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান, জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সেই সাক্ষাতেই ফের একবার কূটনৈতিক বিতর্কের ঝড় তোলেন ইউনুস। জেনারেল সাহির শামশাদকে একটি বিতর্কিত মানচিত্র উপহার দিয়েছেন ইউনুস। সেই মানচিত্রে ভারতের অসম এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। নড়েচড়ে বসে ভারত। ‘চিকেনস নেকে’র সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি, এসএসবি এবং সিআইএসএফ-এর মত বিভিন্ন আধাসেনা বাহিনীকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকেনস নেকের সুরক্ষার জন্য হাসিমারা এবং বাগডোগরার বিমানঘাঁটিকেও তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।