প্রধান শিক্ষকের অপমানের জের, আত্মহত্যার চেষ্টা কৃতী পড়ুয়ার
বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
রাতলাম (মধ্যপ্রদেশ): ভুল করেছে। সেটা বুঝে ক্ষমা চেয়েছে। মাত্র ৪ মিনিটে ৫২ বার সরি বলেছে। তাতেও মন গলেনি প্রধান শিক্ষকের। পাত্তা না দিয়ে, ক্রমাগত করে গিয়েছেন অপমান। হুমকি দিয়েছেন, ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার। এতকিছু সহ্য করার মতো ক্ষমতা ছিল না বছর ১৩-র পড়ুয়ার তথা জাতীয় স্তরের স্কেটিং খেলোয়াড়ের। তাই স্কুলের মধ্যেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। ঝাঁপ দেয় স্কুলের চারতলা থেকে। গুরুতর আহত হলেও, এ যাত্রায় প্রাণটুকু যায়নি।
মধ্যপ্রদেশের রাতলামের দোংরি নগরের এক বেসরকারি স্কুলের ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া মোবাইল নিয়ে স্কুলে আসে। তারপর ক্লাসঘরের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে। বিষয়টা কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই ওই পড়ুয়াকে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষক। একইসঙ্গে খবর পাঠানো হয় তার বাড়িতে। এতক্ষণে নিজের ভুল বুঝতে পেরে চরম অনুতপ্ত হয় ওই পড়ুয়া। প্রধান শিক্ষকের ঘরে গিয়ে বারবার ক্ষমা চাইতে শুরু করে। মাত্র ৪ মিনিটে ৫২ বার সরি বলেছিল সে। কিন্তু সেসব কার্যত পাত্তাই দেননি প্রধান শিক্ষক। উলটে ওই নাবালককে চরম অপমান করেন। রাগে, দুঃখে, অপমানে প্রধান শিক্ষকের ঘর থেকে বেরিয়েই চারতলা বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল। পড়ুয়ার চারতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়া এবং প্রধান শিক্ষকের ঘরে যাওয়ার দৃশ্য পড়ুয়ার দাবি, তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তার সমস্ত মেডেল কেড়ে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন প্রধান শিক্ষক। পড়ুয়ার বাবা বলেছেন, ‘স্কুল থেকে দুবার ফোন এসেছিল। প্রথম ফোনে ডেকে পাঠানো হয়, পরের ফোনে জানানো হয় হাসপাতালে যাওয়ার কথা।’ ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাতলামের ওই বেসরকারি স্কুল। এখনও কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিষয়টা নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন এসডিএম।