• ২০৮০ সালে থিতু হবে দেশের জনসংখ্যা, দাবি রিপোর্টে
    বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: ভারতে জন্মহার ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। নারীপিছু যে জন্মহার বজায় থাকলে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে জনসংখ্যা মোটের উপর একই থাকে, তার থেকে সার্বিক প্রজনন হার কমছে। তার জেরে আগামী ২০৮০ সাল নাগাদ স্থিতাবস্থায় পৌঁছবে ভারতের জনসংখ্যা। সেই সময় দেশের জনসংখ্যা হবে ১৮০-১৯০ কোটি। এমনটাই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব পপুলেশনের জেনারেল সেক্রেটারি অনিল চন্দ্রন। তিনি জানিয়েছেন, ২০০০ সালে দেশে টিএফআর ছিল ৩.৫। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ১.৯।  অর্থাৎ সার্বিক প্রজননের হার অনেকটাই কমেছে। অনিলের মতে, এখন মহিলাদের শিক্ষার হার অনেক বেশি। বিয়েও দেরিতে হচ্ছে। পাশাপাশি, তাঁদের আর্থিক অবস্থাও ভালো হয়েছে। গর্ভনিরোধক ওষুধ ও প্রসব সম্পর্কিত সচেতনতাও মহিলাদের মধ্যে আগের থেকে অনেক বেড়েছে। এই সব কারণের জন্যই সন্তান প্রসবের হার অনেকটাই বদলেছে।  

    এসংক্রান্ত রাজ্যভিত্তিক বেশি কিছু তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত শতকের আটের দশকের শেষে রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি বা আরএলএফ ছুঁয়েছিল কেরল। কী এই আরএলএফ? প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এক মহিলার যত সংখ্যক সন্তানের প্রয়োজন, তার গড়ই হল আরএলএফ। 

    বর্তমানে কেরলের টিএফআর ১.৫ এর কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গেও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সার্বিক প্রজনন হার। ২০১৩ সালের ১.৭ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে ১.৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, তামিলনাড়ু, দিল্লির মতোই অত্যন্ত কম জন্মহারের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলার নামও যুক্ত হয়ে গিয়েছে। অনিল জানিয়েছেন, জন্মহার কমলেও গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রবীণদের দেখভাল করা নিয়ে চাপ তৈরি হতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)