ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর দায়ের পুলিশের
বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ডের আর্থিক তছরুপ মামলায় ফের বিপাকে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেন্সেস উইং। সোনিয়া ও রাহুল ছাড়াও আরও ছ’জনের নাম ওই এফআইআরে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম স্যাম পিত্রোদা। এছাড়া ইয়ং ইন্ডিয়ান, ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ, সুনীল ভাণ্ডারী এবং অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের নামও রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সম্পত্তির অসত্ ব্যবহার, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর দিল্লি পুলিশ ওই এফআইআর দায়ের করে। এই মামলায় আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেখানেও সোনিয়া ও রাহুলের নাম রয়েছে। তবে ২৯ নভেম্বর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সেই চার্জশিট গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। ১৬ ডিসেম্বর এই নিয়ে ফের শুনানি হবে।
দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের (এজেএল) ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ন্যাশনাল হেরাল্ডের আসল মালিক ছিল এই এজেএল। কিন্তু পরে সেটি ইয়ং ইন্ডিয়ান অধিগ্রহণ করে। সোনিয়া ও রাহুল ইয়ং ইন্ডিয়ানের দুই প্রধান অংশীদার। অভিযোগ, মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি কিনে নেয় এই সংস্থা। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, এর ফলে এজেএলের শেয়ার হোল্ডাররা প্রতারিত হয়েছেন। যদিও নতুন করে এফআইআর দায়েরের পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রস। রবিবার দলের তরফে অভিযোগ তুলেছে, ‘মোদি-শাহ জুটি’ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে হয়রানি, ভয় দেখানো ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ন্যাশনাল হেরাল্ডের মামলাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেও দাবি করেছে হাত শিবির। এদিন এক্স হ্যান্ডলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লিখেছেন, ‘মোদি-শাহ জুটি নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিচারব্যবস্থার জয় হবেই।’ কংগ্রেস মুখপাত্র এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, এই এফআইআরে নতুনত্ব কিছুই নেই। কোনও টাকা সরানো হয়নি। কোনও সম্পত্তি হস্তান্তর হয়নি। অথচ তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাস্যকর বিষয় হল, ইয়ং ইন্ডিয়ানের ডিরেক্টররা কেউ লভ্যাংশের অংশই পেতেন না।