জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো রুটে বাড়তি পরিষেবা আজ থেকেই
বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো রুট আজ সোমবার থেকে আরও বেশি যাত্রীবান্ধব হতে চলেছে। ইংরেজি বছরের শেষমাসের পয়লা থেকে এই পার্পেল লাইনে বাড়ছে মেট্রো পরিষেবার সংখ্যা। পাশাপাশি মেট্রো চলাচলের সময়সীমাও খানিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে মহানগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের মানুষের কাছে এই করিডরকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে সক্রিয় রেল। প্রসঙ্গত, জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত আপ-ডাউনে সারাদিনে এতদিন ৮০টি মেট্রো পরিষেবা চলত। আজ থেকে তা বেড়ে হবে ৮৪টি। সোম থেকে শুক্রবার সপ্তাহের কাজের দিনে এই বাড়তি পরিষেবা মিলবে। এই করিডর চালু হওয়া ইস্তক সপ্তাহে পাঁচদিনই তা চালু থাকত। কিন্তু যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি এই রুট শনিবার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। পরিবর্তিত সূচিতে শনিবার জোকা রুটে সারাদিনে ৪০টি মেট্রো পরিষেবা চলবে। রবিবার এই লাইন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে, যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আজ থেকে দিনের প্রথম ও শেষ মেট্রো পরিষেবার সময় সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতদিন সকালের প্রথম মেট্রো পরিষেবা জোকা ও মাঝেরহাট থেকে যাত্রা শুরু করত যথাক্রমে সকাল ৬টা ৫০ মিনিট এবং ৭টা ১৪ মিনিটে। আজ থেকে তা বদলে হবে যথাক্রমে সকাল ৬টা ৪০ মিনিট এবং ৭টা ৩ মিনিটে। একইভাবে দিনের শেষ মেট্রো পরিষেবা সংশ্লিষ্ট দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে এতদিন ছাড়ত রাত ৮টা ৩৬ মিনিট ও ৮টা ৫৭ মিনিটে। ১ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীরা জোকা ও মাঝেরহাট থেকে শেষ মেট্রো পাবেন যথাক্রমে রাত ৯টা ০৫ মিনিট ও ৯টা ২৬ মিনিটে। নয়া সময়সারণি শিয়ালদহ-বজবজ রুটের ট্রেন যাত্রীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে বলেও দাবি পূর্ব রেল কর্তাদের। কারণ, বহুযাত্রী শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরে মাঝেরহাট পর্যন্ত যাতায়াত করেন। সেখান থেকে মেট্রো ধরে বেহালার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েন। পরিবর্তিত সূচিতে এই অংশের যাত্রীরা সকালে ও রাতে মেট্রোর ধরার ক্ষেত্রে বাড়তি সময় পাবেন।
এদিকে, কলকাতা মেট্রোর সবচেয়ে পুরোনো লাইন শহিদ ক্ষুদিরাম -দক্ষিণেশ্বর রুট নয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির জেরে প্রায় ট্রাক কিংবা প্ল্যাটফর্ম জল ভেসে যাচ্ছে। যার জেরে গত দু’বছরের বহুদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা নর্থ-সাউথ মেট্রো রুট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হতে চলেছে ব্লু লাইনে। যার পোশাকি নাম ‘বিল্ডিং ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম’ (বিএমএস)। এর মাধ্যমে এই রুটের সমস্ত স্টেশনের সাম্প পাম্পগুলি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। সাম্প পাম্প অর্থাৎ যার মাধ্যমে মাটের নীচের জল পাম্প করে উপরে ফেলা হয়। সত্তরের দশকে তৈরি এই মেট্রো করিডরের অধিকাংশ স্টেশন পাতালে অর্থাৎ মাটির তলায়। জল জমার সমস্যা পাতালের ওই স্টেশনগুলিতেই। বিএমএসের মাধ্যমে মেট্রো রেল ভবন জল তোলার রাশ নিজেদের বাগে রাখতে পারবে। একইসঙ্গে প্ল্যাটফর্মের শীততাপ ব্যবস্থা, টানেল ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, ইলেকট্রিকের যাবতীয়