• অশোকনগরে সিপিএম নেতার বাড়ির নীচেই মিলল দু’টি কঙ্কাল, শোরগোল
    বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: প্রয়াত সিপিএম নেতার বাড়ির নীচ থেকে উদ্ধার হল দু’টি কঙ্কাল। রবিবার দুপুরের এই ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় হইচই পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই, আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষ ভিড় জমান। ঘটনাটি অশোকনগর শহরের। অশোকনগর থানার পুলিশ গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণগড় স্বামীজি সংঘ পাড়ায় বসবাস করতেন সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে মৃত্যু হয় এই দাপুটে নেতার। তাঁর বাড়ির পাশেই রয়েছে অনেকটা জায়গা। রবিবার সেই জায়গায় বিজনবাবুর এক মেয়ে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। সেই মতো বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকরা ভিত করতে মাটি কাটা শুরু করেন। কিন্তু কিছুটা মাটি খোঁড়ার পর কর্মীরা দেখেন, বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল। একটি নয়, দুটি মানব কঙ্কাল উপরে তোলেন কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়। হাবড়ার এসডিপিও প্রসেনজিৎ দাস ও অশোকনগর থানার ওসি চিন্তামণি নস্কর সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল নিয়ে যাওয়া হয়। নির্মাণ শ্রমিক দিলীপ গাঁইন বলেন, কাজ করতে করতে হঠাৎ করে কঙ্কাল বেরিয়ে এল। এই ধরনের ঘটনা আগে কখন ঘটেনি আমদের জীবনে। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা গুপি মজুমদার বললেন, ঘটনাটি শুনেই শিউরে উঠলাম। পুলিশ এসে জায়গাটি সিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি কাজও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। আমরা চাই এর উপযুক্ত তদন্ত হোক। এনিয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, দুটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে অশোকনগরে। সোমবার অ্যানাটমি এক্সপার্টরা তদন্তে আসবেন। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি দেহ দুটি পুরুষ না মহিলার, সেটিও জানা যাবে।

    উল্লেখ্য, ২০০২ সালেও কল্যাণগড় বালিকা বিদ্যালয়ের পিছনের জলের ট্যাঙ্কে পচা-গলা দেহ ও হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছিল। এনিয়ে অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির মাটি খুড়ে কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। বাম জমানায় এঁরা ত্রাস ছিলেন। এটা ওঁদেরই কদর্য ইতিহাস। তৎকালীন সময়ের যাঁরা কংগ্রেস করতেন, কঙ্কালগুলি তাঁদেরই বলে আমরা অনুমান করছি। পুলিশ তদন্ত করেছে। আমাদের আশঙ্কা, এটা রাজনৈতিক খুনের ঘটনা।

    এনিয়ে অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, ওই এলাকায় অনেক আগে কবরস্থান ছিল, এটা সবাই জানেন। আর তা থেকেই এগুলি উদ্ধার হয়েছে। আগেও একইভাবে হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। বিধায়ক কেন এসব কথা বলছেন জানা নেই!
  • Link to this news (বর্তমান)