নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেহালা, ঠাকুরপুকুর এবং জোকা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামতের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। পথের কোথাও উঁচু-নীচু, কোথাও ঢেউ খেলানো। তা মসৃণ করা হবে। কোথাও আরও চওড়া করা হবে রাস্তা। জেমস লং সরণির দু’টি অংশ মিলিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ মেরামত হবে। পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধী রোডের বিস্তীর্ণ অংশে প্রশস্ত করা হবে রাস্তা, তৈরি হবে নতুন পথ।
দীর্ঘদিন ধরে জেমস লং সরণির হাল খারাপ। অনেক জায়গাতেই ভাঙাচোরা অবস্থা। রাস্তা অমসৃণ। এই পথটি গুরুত্বপূর্ণ। বহু যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। রাস্তা খারাপ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তির মধ্যে পড়েন নাগরিকরা। ঠিক হয়েছে, রাস্তার পশ্চিম পাড়ে ডায়মন্ড পার্ক ক্রসিং থেকে দাসপাড়া ক্রসিং এবং জনকল্যাণ ক্রসিং থেকে রাজা রামমোহন রায় রোড ক্রসিং পর্যন্ত অংশে নতুন করে রাস্তা তৈরি হবে। একাধিক ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে গিয়েছে এই রাস্তা।
অন্যদিকে কেইআইআইপি প্রকল্পে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের পর ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল ছাড়িয়ে চড়িয়াল খাল পর্যন্ত নতুন চওড়া রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। এবার বাকি অংশে অর্থাৎ চড়িয়াল খাল থেকে আশাবরী মোড় পর্যন্ত নতুন রাস্তা তৈরি হবে। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার রোড জংশন থেকে একটি বেসরকারি প্লাইউডের দোকান পর্যন্ত রাস্তাও একইভাবে চওড়া এবং মসৃণ করা হবে। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ নতুন করে তৈরি করতে চলেছে পুরসভা। বর্তমানে এই রাস্তা প্রায় ২২ ফুট চওড়া। যা প্রায় ৪৫ ফুট পর্যন্ত চওড়া করা হবে। রাস্তার দু’পাশে বাতিস্তম্ভ এবং ইলেকট্রিকের পোস্ট সরানো হবে।
মহাত্মা গান্ধী রোডজুড়ে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ হয়েছে। বসানো হয়েছে ভূগর্ভস্থ বড় আকারের পাইপলাইন। কিন্তু কেইআইআইপি প্রকল্পে সেই কাজ নিয়ে বেহালাবাসীর দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। একসময় প্রায় বেহালা, জোকা, ঠাকুরপুকুরের বেহাল রাস্তা ও কেইআইআইপি কাজ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ প্রায় রোজকার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে আসত। এখন পরিস্থিতি বদলে মহাত্মা গান্ধী রোডের প্রায় অর্ধেক অংশের রাস্তার ভালো অবস্থা। বরো চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লে বলেন, ‘চড়িয়াল পর্যন্ত যেখানে মহাত্মা গান্ধী রোড প্রশস্ত করে নতুনভাবে বানানো হয়েছে, সেখানে ইলেকট্রিকের পোল বা বাতিস্তম্ভগুলি এখনও রাস্তার ধারে সরানো হয়নি। পুরসভা সিইএসই’র সঙ্গে কথা বলছে। দ্রুত সেই কাজ হবে। বাকি রাস্তা নতুন করে বানানো হবে। আরও চওড়া হবে। এই পথে রোজ বহু যানবাহন চলাচল করে। ফলে রাস্তা চওড়া হলে যানজট কমবে, পথের গতি বাড়বে।’
পাশাপাশি জোকা এলাকায় ঢালিপাড়া মালপাড়ায় নবপল্লি কল্যাণ সংঘ পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করে নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।