এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ওয়েডারবার্ন এলাকা। মাঝ আকাশে দুটি হালকা বিমানের সংঘর্ষে মর্মান্তিক মৃত্যু হলো এক পাইলটের। স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর সোয়া বারোটা নাগাদ, ফর্মেশন ফ্লাইটের অংশ হিসেবে বিমান দু’টি অবতরনের সময়ে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। একে অন্যের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলে একটি বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত নীচে নেমে এসে ন্যাপারফিল্ড এয়ারফিল্ডের কাছে একটি ঝোপের মধ্যে আছড়ে পড়ে এবং ভেঙেচুরে যায়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছেছিল পুলিশ ও জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ভেঙে পড়া বিমানটি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪৩ বছর বয়সি পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত পাইলট এডি সেভ, অত্যন্ত সম্মানীয় এবং অভিজ্ঞ পাইলট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বস্তুত, সিডনির হিলস জেলার এই অভিজ্ঞ পাইলট ‘ফ্রিডম ফর্মেশন’ নামে একটি অ্যাক্রোব্যাটিক এয়ার ফর্মেশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সম্প্রতি ‘গোল্ড কোস্ট এয়ারশো’তেও অংশ নিয়েছিলেন।
তবে সৌভাগ্যক্রমে বিমানের সামনের আসনে থাকা ৪০ বছরের এক মহিলা যাত্রীকে একেবারে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
অক্ষত আছেন সংঘর্ষে জড়িত দ্বিতীয় বিমানটির পাইলটও। সেটি ধাক্কা লাগা সত্ত্বেও নিরাপদে ওয়েডারবার্ন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বা ATSB ইতিমধ্যেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে তারা জানিয়েছে, সংঘর্ষে জড়িত দু’টি বিমানই ছিল ‘ভ্যান’ সংস্থার তৈরি RV-7 মডেলের। এটি একটি দুই আসন বিশিষ্ট এক ইঞ্জিনের হালকা বিমান।
তারা আরও জানিয়েছে, অবতরণের ঠিক আগে চার’টি বিমানের একটি ফর্মেশন ফ্লাইটের অংশ ছিল দুর্ঘটনা কবলিত এই বিমান দু’টি। মাঝ আকাশে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ জানতে জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।