• ঘুমের ওষুধ মেশানো কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ায় বন্ধু, অচেতন হয়ে পড়তেই সঙ্গীদের নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ বাবার
    এই সময় | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ফের উত্তরপ্রদেশ। এ বার এক কিশোরীকে ১২ দিন ধরে বাড়িতে আটকে রেখে লাগাতার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বাবা এবং আরও দু’জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাপুরে। ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    ঘটনার সূত্রপাত ১৩ নভেম্বর। বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল কিশোরীর। সেখানেই পৌঁছনোর পরেও কিছুও আন্দাজ করতে পারেনি সে। বন্ধুই তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানে কোল্ড ড্রিঙ্কস দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেটা খেয়েই অচেতন হয়ে পড়ে কিশোরী। অভিযোগ, এর পরে তাকে একটা ঘরে আটকে রেখে বন্ধুর বাবা এবং আরও দু’জন মিলে লাগাতার ধর্ষণ করে।

    এ ভাবে কেটে যায় ১২ দিন। এর মধ্যে একাধিকবার পালানোর চেষ্টা করেছে কিশোরী। কিন্তু পারেনি। প্রতিবারই ধরা পড়ে গিয়েছে। অবশেষে ২৫ নভেম্বর সবার চোখ এড়িয়ে বন্ধুর বাড়ি থেকে পালায় সে। সোজা গিয়ে হাজির হয় নিজের বাড়িতে। তার পর সব কথা খুলে বলে মাকে। নির্যাতিতা কিশোরীর অভিযোগ, বন্ধুর বাবা এবং আরও দু’জন মিলে টানা ১২ দিন ধরে লাগাতার ধর্ষণ করেছে তাকে।

    নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা শয্যাশায়ী। কয়েক বছর ধরে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তার মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার সামলান। মেয়ের এই অবস্থার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শুরু হয় তদন্ত।

    তল্লাশিতে নেমে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হাপুরের এসপি কুনওয়ার সিং বলেন, ‘ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০ (২) (গণধর্ষণ), ১২৭ (বন্দি বানানো), ১২৩ (পরিকল্পিত আঘাত), ১৩৭ (অপহরণ) এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতার বন্ধু এবং তার বাবা এখনও পলাতক। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিশোরীর চিকিৎসা চলছে। তার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।’

  • Link to this news (এই সময়)