এই সময়, দিঘা: অনলাইনে প্রসাদ বুকিংয়ের সুবিধের পরে এ বার দিঘার মন্দিরে বসে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়ে গেল। সেই সঙ্গে মন্দিরে শুকনো প্রসাদ তৈরির জন্য বসানো হলো অত্যাধুনিক প্যাড়া তৈরির স্বয়ংক্রিয় মেশিনও।
ডিসেম্বর থেকেই দিঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। এ বারও সেই হিসেবের গরমিল হয়নি। দিঘার অধিকাংশ হোটেলেরই বুকিং ফুল। বিশেষ করে উইকএন্ডে। সেই সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও ভক্তদের ভিড় বাড়বে বলে মনে করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মন্দির ট্রাস্টি কমিটির সদস্য তথা কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, 'এপ্রিল মাসে মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে দিঘায় ভিড় আরও বেড়েছে। ধাপে ধাপে মন্দিরে এখন অনেক কিছুই শুরু করা গিয়েছে। অনলাইনে ভোগ বিতরণের বন্দোবস্ত হয়েছে।'
আগে থেকে বুকিং করে রাখলে নির্দিষ্ট হোটেলে গিয়ে মন্দিরের ভোগ দিয়ে আসা হচ্ছে পর্যটকদের। এ বার একেবারে মন্দিরে বসেই ভোগ খেতে পারবেন ভক্তরা। তবে এক্ষেত্রে একটি নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মন্দির সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোগ রান্না করা হচ্ছে। সেই পরিমাণ শেষ হয়ে গেলে আর ভোগ পাওয়া যাবে না। তবে কত জন খাবেন তা যদি কেউ আগে থেকে জানিয়ে দেন, তা হলে মন্দির কর্তৃপক্ষ তা আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখবেন।
দুপুরের ভোগের জন্যে সকাল ১০টার মধ্যে আর সন্ধ্যার মহাপ্রসাদের জন্যে সকাল ১১টা থেকে ৫টার মধ্যে ফোন করে জানাতে হবে। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, খিচুড়ি ভোগের জন্য ৫০-১০০ টাকা কুপন পাওয়া যাবে। এ ছাড়া স্পেশাল ৮ পদের ভোগের থালি ১৫০ টাকার কুপন কাটতে হবে দর্শনার্থীদের।
প্যাড়া তৈরির স্বয়ংক্রিয় মেশিন বসানো হয়েছে মন্দিরে। মেশিনে তৈরি প্যাড়া বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাধারমণ জানিয়েছেন, প্রণামী থেকে যে আয় হয়, তা দিয়ে মন্দিরের উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। ৬–৭ লক্ষ টাকা দিয়ে স্বয়ংক্রিয় প্যাড়া তৈরির মেশিন বসানো হয়েছে। দিনে পাঁচ হাজার তৈরি হচ্ছে।