• নথি, বিমা ছাড়াই পুলকার চলছে রাজারহাট-ভাঙড়ে
    এই সময় | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • প্রশান্ত ঘোষ ■ ভাঙড়

    ফিটনেস সার্টিফিকেটের বালাই নেই, নেই গাড়ি বিমার কাগজপত্র। উল্টে অনুমোদিত সিটের বেশি সিট লাগিয়ে পুলকার চলছে শহরতলিতে। ফার্স্ট এড বক্স, অ্যাটেনডেন্টের কোনও চল নেই এ তল্লাটে।

    সরকারি গাইডলাইনের বাইরে গিয়ে পড়ুয়াদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বছরের পর এ ভাবেই পুলকার চলছে ভাঙড়-রাজারহাটে। গত সপ্তাহে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় পুলকার দুর্ঘটনায় তিন পড়ুয়ার মৃত্যু হওয়ায় ভাঙড়, রাজারহাটের পুলকারগুলির ভয়াবহ অবস্থায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

    ভাঙড় ও রাজারহাটে একাধিক বেসরকারি স্কুলে পুলকার করে কয়েক হাজার পড়ুয়া স্কুলে যায়। ভাঙাচোরা রাস্তা, পুকুরপাড়, মেঠো পথ দিয়ে চলে পুলকার। এই এলাকায় পুলকার বলতে ১৫ বছরের বেশি বাতিল হয়ে যাওয়া মারুতি ভ্যান, টাটা সুমো, উইঙ্গার কিংবা টাটা ম্যাজিক বেশি চলে। এলাকার গাড়ি ব্যবসায়ীরা ওই সমস্ত গাড়ি কম টাকায় কিনে বৈধ-কাগজপত্র ছাড়াই গাড়ি চালান।

    রাজারহাট এলাকায় কম করে ৭-৮টি পুলকার চালান শুভঙ্কর রায়। তাঁর বক্তব্য, 'একটি গাড়ির বিমা, সিএফ, রেজিস্ট্রেশন রিনিউ করতে বছরে ৪০-৫০ হাজার টাকা দরকার। অথচ একটা গাড়ি থেকে মাসে ৪-৫ হাজার টাকার বেশি আয় হয় না। কী ভাবে গাড়ি চালাব আমরা?'

    কাশীপুর কিশোর ভারতী স্কুলে ১৩০০ ছাত্রছাত্রী পড়ে। ১৪-১৫টি গ্রামের বেশিরভাগ পড়ুয়া পুলকারে স্কুলে আসে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'স্কুল পুলকার চালায় না। অভিভাবকরা গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। গরিব এলাকায় অভিভাবকরা মাসে ৭০০-৮০০ টাকার বেশি দিতে পারেন না। তাঁদের সচেতন হতে হবে।'

  • Link to this news (এই সময়)