মাটির তলায় একাধিক নরকঙ্কাল! খুঁড়তেই একে একে বেরিয়ে আসছে হাড়গোড় এবং খুলি। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও।
যতদূর খবর, অশোকনগরের কল্যাণগড় বাজার সংলগ্ন স্বামীজি সংঘ ক্লাবের পাশে একটা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেখানে চলছিল ভিতের জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ। আর সেই সময়ই একের পর এক খুলি এবং হাড় মিলেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
কী জানা গিয়েছে?
স্থানীয় মানুষের দাবি, মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। সেই সময়ই দু'টি খুলি দেখতে পাওয়া যায়। তারপরও চালানো হয় খোঁড়ার কাজ। সেই সময় উদ্ধার হয় হাড়গোড়। তখনই খবর যায় পুলিশে। সেখানে পৌঁছে যায় অশোকনগর থানার পুলিশ। তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বলেই খবর।
প্রথামকিভাবে জানা যাচ্ছে, এই উদ্ধার হওয়া কঙ্কালগুলি সাম্প্রতিক নয়। বরং খুবই পুরনো। যদিও এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছুই জানায়নি পুলিশ। তাদের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়েছিল ফরেনসিক বিভাগকে। তারাই কঙ্কালগুলির বয়স যাচাই করবে এবং মৃত্যুর কারণ খোঁজার চেষ্টা করবে বলে জানা গিয়েছে। তারপর সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে পুলিশ।
যদিও ফরেনসিকের জন্য বসে নেই পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্ত। যদিও তদন্তের বিষয় নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তারা। যার ফলে কঙ্কাল কাণ্ড সম্পর্কে কোনও আপডেটই মিলছে না।
ঘটনাচক্রে ওই জমির পাশেই থাকেন আশিস মুখোপাধ্যায়। তার দাবি, তিনি এ সবের কিছুই জানতেন না। আগে ওখানে থাকতেন তাঁর কাকা বিজন মুখোপাধ্যায়। সেখানেই ছিল তাঁর বাড়ি। মাটি খোঁড়ার সময় মিস্ত্রিরা তাকে ডেকে দেখায় মাথার খুলি আর হাড়গোড় পাওয়া গিয়েছে।
ও দিকে তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী আবার এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন সিপিএমকে। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'অশোকনগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণগড়ে সিপিএমের এক সময়ের হার্মাদ বিজন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির শোওয়ার ঘরের মেঝের নীচে পাওয়া দিয়েছে কঙ্কাল। বিজনেরা এককালে অশোকনগর-হাবড়ার ত্রাস ছিল। আশির দশকে এই এলাকায় এদের কথাই ছিল শেষ কথা।’