বরুণ সেনগুপ্ত: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে প্রেমিককে সারারাত আম বাগানে অমানবিক মারধর এবং খুনের চেষ্টা ও গায়ে মূত্র ত্যাগ। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তরা সেই ছবি নিজেরাই তুলে ফেসবুকে পোস্ট। তারপরই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ক্ষুব্ধ নৈহাটির বিধায়ক। তিনি অভিযোগ করেন যে, জেঠিয়া থানার পুলিস লঘু মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়, তাই অভিযুক্তরা নিন্দনীয় অমানবিক ঘটনা থেকে জামিন পায়। পুলিসের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়ে ফয়সলার আশ্বাস বিধায়ক সনত দে-এর।
খড়দহের বিধায়ক এবং রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ নৈহাটির বিধায়ক সনত দে। ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে দুই দুষ্কৃতির জেঠিয়া থানার জোনপুরে রবীন্দ্রনগর এলাকায় এক যুবককে সারারাত অমানবিক অত্যাচার এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে ও তার গায়ে মূত্র ত্যাগ করে সেই ছবি ফেসবুকে ছেড়েছে! আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে এবং ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নিন্দা করছেন শাসক দলের স্থানীয় বিধায়ক থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও। এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে।
শুভ্রনীল এবং জিত নামে ওই দুই অভিযুক্তকে জেঠিয়া থানার পুলিস লঘু ধারায় মামলা করে। কিন্তু অভিযুক্তদের আদালতে পাঠালে ব্যারাকপুর আদালত তাদেরকে জামিন দিয়ে দেয়। জামিন পেয়ে আপাতত ওই দুই অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিলে ও আতঙ্কে রাতের ঘুম ছুটেছে ভুক্তভোগী সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর পরিবারের। আর এতেই ক্ষুব্ধ শাসক দলের স্থানীয় বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত সদস্য। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।
তবে আক্রান্ত সন্দীপ ঘোষ জানান, এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসার জন্য শুভ্রনীল এবং জিত্ তাকে বারে বারে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এরপর তাকে ডেকে নিয়ে রবীন্দ্র পল্লীর কাছে আম বাগানে নিয়ে তাকে সারারাত বেধড়ক মারে এবং মেরে ফেলার চেষ্টা করে। রক্তাক্ত অবস্থা পালিয়ে কোনওরকম নিজের প্রাণ বাঁচান সন্দীপ। অন্যদিকে, বেকায়দায় পড়েছে জেটিয়া থানা! অমানবিক এই দৃশ্য ভাইরাল হতেই চাপের মুখে প্রশাসন। প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।