রোগীমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে! হাসপাতালে ভাঙচুর এবং তাণ্ডবের অভিযোগ, গ্রেফতার চার
আনন্দবাজার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
রোগীমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃতের ক্ষুব্ধ পরিজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর এবং তাণ্ডব চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতের ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা নার্গিস বানু খাতুনকে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। পরে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয় ৫৫ বছর বয়সি ওই রোগীর। সেই থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলতে থাকেন মৃতের পরিবারের সদস্যেরা। ক্ষুব্ধ পরিজনেরা সেই সময় হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালান বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, হাসপাতালের দু’টি কাঁচের দরজা এবং একটি কাঠের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে বেশ কিছু ওষুধপত্রও। শনিবার রাতের ওই গোলমালের খবর যায় বহরমপুর থানাতেও।
অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছোয় স্থানীয় থানার পুলিশের একটি দল। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের তিন তলা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ মাসুম কবির, রোহন করিম, মাসুদ করিম এবং জিয়াউর রহমান। ধৃতেরা সকলেই বেলডাঙার বাসিন্দা। যদিও মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। মৃতের এক আত্মীয় আক্তার আলি বলেন, “দীর্ঘ ক্ষণ রোগী সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকলেও চিকিৎসকেরা যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও চিকিৎসকেরা পরিষেবায় চূড়ান্ত গাফিলতি করেছেন। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।”
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার চিকিৎসক অনাদি চক্রবর্তী বলেন, “এক জন রোগীর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হলে রোগীর পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছোয়। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তদন্ত চলছে।” মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ডিএসপি (ডি অ্যান্ড পি) সুশান্ত রাজবংশী বলেন, “পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ পৌঁছে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”