সুমন করাতি, হুগলি: এসআইআর আবহে বিভিন্ন এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে। কাউকে বাড়িতে পাওয়া না গেলে কী হবে অথবা, কী হবে তালিকায় নাম না থাকলে? এমন অনেক প্রশ্ন প্রতিনিয়ত উঁকি দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। এবার এমনই এক ঘটনায় সর্বসমক্ষে নোটিস দিলেন বিএলও। বার বার চেষ্টা করেও ভোটারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় সকলের সামনে নোটিস টাঙিয়ে সেকথা জানিয়ে দিলেন বিএলও।
জানা গিয়েছে, চাঁপদানী বিধানসভার ১১১ নম্বর বুথের ২৫ জন ভোটার এবং ১১২ নম্বর বুথের ৩০ জন ভোটারকে চিহ্নিত করতে না পেয়ে পাবলিক নোটিস দিয়ে দিলেন বিএলও। বৈদ্যবাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি বুথে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে বেশ কিছু ভোটারকে খুঁজেই পাননি বিএলও-রা। তিনবার ওই এলাকায় গিয়েও তাদের না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ভোটারকে খুঁজে না পাওয়া গেলে সেই এলাকায় পাবলিক নোটিস দেওয়ার কথা বিএলও-র। সেই নিয়ম মেনেই কাজ করেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ওই বুথের বিএলওদের সঙ্গে থাকা বিএলএ-রাও খুঁজে বের করতে পারেননি ভোটারদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মত যদি সঠিক ভোটার হন তাহলে তিনি এলাকায় থাকবেন। নাহলে অন্তত তাঁর পরিবারের আত্মীয় স্বজনরা থাকার কথা। এক্ষেত্রে ওই ভোতার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এলাকার মানুষের দাবি, এসআইআর-এর মাধ্যমে প্রকৃত বৈধ ভোটারদের নাম থাকুক এবং অবৈধ ভোটার বাদ যাক ভোটার তালিকা থেকে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির অভিযোগ ছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিধানসভায় এসআইআর প্রক্রিয়ায় মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে না। নাম যাতে বাতিল করা না হয় তার জন্য শাসকদলের পক্ষ থেকে বিএলওদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশনে এহেন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই রবিবার ফলতায় আসে কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক দল। সঙ্গে ছিলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর্যবেক্ষক সি মুরুগান। বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত বলেন, “অভিযোগ হতেই পারে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর তখন তার উপর আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে। সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শুনানিও হবে।”