শমীকের পোস্ট ‘লাইক’ তৃণমূলের শিক্ষক নেতা মইদুলের! চর্চা শুরু দলের অন্দরে
প্রতিদিন | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বিজেপির ‘নিরীহ’ সাংগঠনিক বৈঠক। তার ছবি নিজেই নিজের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু সোশাল মিডিয়ার পাতা স্ক্রল করতে গিয়ে দেখা গেল, শমীকের সেই পোস্টটি ‘লাইক’ করেছেন তৃণমূলের শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম! এই মইদুলের নিজের প্রোফাইলের ডিপিতে আবার তাঁর নিজের ছবি রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিব সুমিত রায় ও ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদের সঙ্গে। এই অবস্থায় তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ছবিতে তৃণমূলের শিক্ষক নেতা মইদুলের ‘লাইক’ নিয়ে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু-পন্থী শিক্ষক নেতাদের সরিয়ে সদ্য নতুন কমিটিতে এসেছেন মইদুল ইসলাম। প্রশ্ন হল, ‘ব্রাত্যপন্থী’ অনেকের বিরুদ্ধেই বিজেপির সঙ্গে সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ ছিল। অথচ, তাঁদের সরিয়ে যাঁরা দায়িত্বে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও বিজেপি-ঘনিষ্ঠতা নিয়ে চর্চা চলছে। গেরুয়া ব্রিগেডের রাজ্য সভাপতির পোস্টে তৃণমূলের শিক্ষক সেলে সদ্য আগত মইদুল ইসলামের ‘লাইক’ই তার প্রমাণ।
পালটা দাবিও উঠেছে। দলের একাংশ মনে করছে, শমীকের পোস্ট লাইক করা ওই মইদুল সম্ভবত তৃণমূলের শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম নন। না হলে তিনি শমীক ভট্টাচার্যের প্রোফাইলে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকের ছবিতে অযথা লাইক দেবেন কেন? সম্ভবত এটা কোনও ‘ফেক’ প্রোফাইল, অথবা কোনওভাবে কোনওরকম চক্রান্ত করে দলের এই শিক্ষক নেতা মইদুলকে বদনাম করার জন্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হয়েছে। এখানে দলেরই একটা অংশ প্রশ্ন তুলেছে যে, যদি এটা মইদুলের বিরুদ্ধেই কোনও চক্রান্ত হয় তবে সেটাও তো খতিয়ে দেখা উচিত। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে ‘ব্রাত্যপন্থী’ শিক্ষক নেতাদের যেখানে সরিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হল, সেখানে নতুন কমিটির একজন সদস্য দলের শিক্ষক নেতা মইদুলকে বদনাম করার কোনও উদ্দেশে তাঁকে কেউ বিজেপি-ঘনিষ্ঠ প্রমাণ করতে চাইছে কি না, সেটাও অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা দরকার।