কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির নোটিস! ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, দাবি দলের
প্রতিদিন | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালের মশলা বন্ডে আর্থিক অনিয়মের তদন্তে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিস পেলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তার ব্যক্তিগত সচিব কে এম আব্রাহাম এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার আধিকারিকরা এই কথা জানিয়েছেন।
৪৬৬ কোটি টাকার ফেমা শোকজ নোটিসে বিজয়ন বা অন্যদের ব্যক্তিগত উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) অনুযায়ী প্রায় ১০-১২ দিন আগে এই নোটিস দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেআইআইএফবি ২০১৯ সালের মার্চ মাসে মশলা বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সেই বছরই ১ এপ্রিল, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের আন্তর্জাতিক সিকিউরিটিজ মার্কেটে এটি তালিকাভুক্ত হয়। জমি কেনার জন্য এই বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত টাকার ব্যবহার এবং ফেমা-র নিয়ম ভাঙার অভিযোগে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই নোটিসকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০২০ সালের স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে কেরালার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বার বার ইডি এই ‘মশলা বন্ড’ ইস্যু ব্যবহার করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মশলা বন্ডের ছাড়পত্র দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। সব পদক্ষেপ আরবিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষেই করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। আইজ্যাক বলেন, বন্ডের টাকা ব্যবহার করে কখনও জমি কেনা হয়নি। তাঁর দাবি, জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “অধিগ্রহণের সময়, আরবিআই জমি কেনা যাবে না এমন শর্তও বাতিল করে।” প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, নোটিসের কী উত্তর দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক এম.ভি. গোবিন্দন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া ইডি নোটিসকে “একটি রাজনৈতিক খেলা” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইডির নোটিস কেরালার নির্বাচনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। আইজ্যাকের সঙ্গে একই সুরে তাঁর দাবি, “২০২০ সালের স্থানীয় নির্বাচনের সময় ইডি নোটিস দেয়। এরপরে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও নোটিস দেয়। এটা রাজনৈতিক খেলা।” গোবিন্দনের দাবি, কেআইআইএফবি রাজ্যজুড়ে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে। তাই ইডি-র নোটিস আসলে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইজ্যাক নয়, কেরালার মানুষকে চ্যালেঞ্জ।