দেশের ৬ জায়গায় নাশকতার ছক বানচাল, গ্রেপ্তার ৩ জঙ্গিকে জেরায় উঠে এল পাক যোগ
প্রতিদিন | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ৩ রাজ্যের ৬টি জায়গায় নাশকতার ছক! দিল্লি বিস্ফোরণের পর গোটা দেশে আতঙ্ক ছড়াতে এমনই ষড়যন্ত্র করেছিল আইএসআই সমর্থিত পাক হ্যান্ডেলাররা। শনিবার তিন রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই সামনে এল এই ভয়ংকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন এই তিন জঙ্গি আইএসআই সমর্থিত পাক হ্যান্ডেলার শাহজাদ ভাট্টির নির্দেশে দিল্লি, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে নাশকতার ছক কষে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন, চ্যাট ও ভিডিও ক্লিপ পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছে তিন রাজ্যের ৬টি স্থানে হামলা চালাতে একাধিকবার রেইকি করা হয়েছে। হামলার স্থানের রুট ম্যাপ, ভিডিও, ছবি তুলে তা পাকিস্তানে বসে থাকা এদের ‘আকা’ ভাট্টিকে পাঠানো হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে ওই তিন রাজ্যকে অ্যালার্ট করা হয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগের তরফে। এরপরই দিল্লি, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে বিশেষ দল গঠন করে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দিল্লি থেকে গুরুদাসপুর, অমৃতসর, বিজনৌর এবং নয়ডা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে। গ্রেপ্তার করা হয় ৩ সন্দেহভাজনকে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই গ্যাংয়ের আরও দুই থেকে তিন সদস্য এখনও পলাতক তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এই ভাট্টি পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার ও পাকিস্তানের আইএসআই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। আততায়ীদের টাকার জোগান, অস্ত্র সরবরাহ এবং তরুণদের নিয়োগ করত। এই মডিউল অল্প টাকার বিনিময়ে তরুণদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত করত। শাহজাদ ভাট্টি ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে ভারতীয় যুবকদের টার্গেট করত। তাদের আর্থিক চাহিদা এবং বেকারত্বকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিযুক্ত করা হত। সামান্য কাজের প্রস্তাব প্রথমে নিজেদের নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হত। এরপর নানা জায়গায় রেইকি, অস্ত্র সরবরাহ ও হামলার ছক কষা হত।
গত ২৫ নভেম্বর গুরুদাসপুর থানায় হামলার ঘটনায় এই নেটওয়ার্কের যোগ মিলেছে। জানা গিয়েছে, হামলায় যুক্ত ছিল ফিরোজপুরের কোহালা গ্রামের দ্বাদশ শ্রেণীর হরগুনপ্রীত সিং ওরফে গুরকরণপ্রীত। সে তার বন্ধু মোহনের মাধ্যমে ভাট্টির সংস্পর্শে আসে। টাকার লোভে সে গুরুদাসপুর থানায় হামলা চালাতে রাজি হয়। বিকাশ নামে এক যুবকের কাছ থেকে গ্রেনেড এবং অস্ত্র সংগ্রহ করে। এরপর হামলা চালায়।