সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর পর দু’টি গুরুত্বপুর্ন বৈঠকে গরহাজির কংগ্রেস সাংসদ শশি থারুর। এই ঘটনায় দলের অন্দরেই উসকে দিয়েছেন গুঞ্জন। সত্যিই কি দল ছাড়ছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ? যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন থারুর।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসে। শীতকালীন অধিবেশনে দলের কৌশল নিয়ে আলোচনা করার জন্য দলের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন, কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সিনিয়র নেতা রাহুল গান্ধী-সহ অন্যান্যরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন থারুর।
সংবাদ মাধ্যমকে থারুর জানিয়েছেন, দলের হাইকমান্ডকে তিনি আগেই জানিয়েছেন এই বৈঠকে তিনি থাকতে পারবেন না। অসুস্থ মায়ের সঙ্গে কেরলে রয়েছেন তিনি। এই নিয়ে পর পর দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠকে থারুর অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগে, ১৮ নভেম্বর, স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রসঙ্গে বৈঠক ছিল। সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য দলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য গান্ধী এবং খাড়গে এই বৈঠক ডাকেন। এই বৈঠকেও ছিলেন না তিনি।
থারুরের দাবি এই বৈঠকে না থাকার কথাও তিনি আগেই জানিয়েছিলেন হাইকমান্ডকে। অসুস্থতার কারণে এই বৈঠক এড়িয়ে যান তিনি। যদিও, এর ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদির ভাষণে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এই ভাষণের পরে মোদির প্রশংসা করে দলের অন্দরে রোষের মুখে পড়েন থারুর।
সাম্প্রতিক অতীতে, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে মোদির প্রশংসা করেছেন থারুর। ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর কংগ্রেস নেতাদের বলতে শোনা গিয়েছিল, সবাই ইন্দিরা হতে পারে না। সেই পরিস্থিতিতে থারুর কার্যত কংগ্রেসের অবস্থানের উলটো দিকে দাঁড়িয়ে মোদিকেই সমর্থন করেন। দাবি করেন, ১৯৭১ আর ২০২৫ এক নয়। দু’টো সময়ের মধ্যে তফাত রয়েছে। যদিও কংগ্রেস নেতাদের তরফ থেকে থারুরের এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি মোদির ফের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন থারুর। বস্তুত, কয়েকমাস ধরেই বেসুরো বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস সাংসদ। একের পর এক মন্তব্যে তিনি নিজেই যেন কংগ্রেস ত্যাগের জল্পনা উসকে দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে কেরলে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা থারুরকে দলত্যাগ করতে হলে তার আগেই করতে হবে। যদিও, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা এই সম্ভানার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি, থারুরও এই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। কিন্তু, পর পর দু’টি বৈঠকে না থাকা, কেরলের বিধানসভা নির্বাচনের সময় এবং থারুরের মুখে মোদির প্রশংসা এমন একটা সময়ে হয়েছে যেখানে দ্রুত জল্পনা প্রশমনের কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।