দিল্লি বিমানবন্দরে ‘জিপিএস স্পুফিং’-এর শিকার বহু বিমান, সংসদে জানাল কেন্দ্র, কী এই সমস্যা?
প্রতিদিন | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই-সহ দেশের একাধিক বিমানবন্দরে ‘জিপিএস স্পুফিং’ ও ‘জিএনএসএস ইন্টারফেরেন্স’-এর শিকার হয়েছিল বহু বিমান। সোমবার সংসদে এই তথ্য মেনে নিল মোদি সরকার। এটি এমন একটি গুরুতর সমস্যা যার জেরে স্যাটেলাইট নির্ভর নেভিগেশন সিস্টেম বাধাপ্রাপ্ত হয় যার জেরে বিমান পরিচালন ব্যবস্থা।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (DGCA)-এর তরফে সমস্ত বিমানবন্দর ও বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল, এই ধরনের ঘটনায় যেন বাধ্যতামূলকভাবে রিপোর্ট করা হয়। এরপরই গোটা দেশ থেকে এই ধরনের বহু রিপোর্ট সামনে আসে। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু জানান, এটি হল স্যাটেলাইট নেভিগেশনে গুরুতর সমস্যা। যা বিমান পরিচালনার জন্য গুরুতর হুমকি। এই ধরনের পরিস্থিতি রুখতে নজরদারি ও প্রযুক্তিগত পরীক্ষা আরও বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের শীর্ষ বিমানবন্দরগুলি নিয়মিতভাবে এই ধরনের মামলা রেকর্ড করছে যাতে যে কোনও সম্ভাব্য সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায়।
জিপিএস স্পুফিং কী?
আসলে এটি এক ধরনের সাইবার হামলা। যার মাধ্যমে নেভিগেশন সিস্টেমে ভুয়ো বা মিথ্যা স্যাটেলাইট সঙ্কেত পাঠায় হামলাকারীরা। এর ফলে সেগুলি তাদের আসল অবস্থান বুঝতে পারে না। মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এক্ষেত্রে পাইলটরা ম্যানুয়াল নেভিগেশন অর্থাৎ কম্পাস এবং চোখে যা দেখতে পাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করতে বাধ্য হন।
পাইলটরা অভিযোগ জানিয়েছেন, অনেক সময় দেখা গিয়েছে দিল্লির ৬০-নটিক্যাল-মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে তাঁরা বিমানের অবস্থান সম্পর্কে ভুল সঙ্কেত পেয়েছেন। এমনকী বিভ্রান্তিকর ভূখণ্ডের ভুল সতর্কতা এসেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না মাঝ আকাশে এই ধরনের ভুল সিগন্যাল কতখানি বিপজ্জনক।