ওই বুথে বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) গোবিন্দ রায়ের বাড়িতে সম্প্রতি পৌঁছে যায় ছ’টি এনিউমারেশন ফর্ম। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় একটি বিশেষ ফর্ম নিয়ে। সেখানে গোবিন্দর বাবা সুভাষচন্দ্র রায়ের তৃতীয় সন্তান হিসেবে উঠে আসে শান্তনু রায় নামের এক অচেনা ব্যক্তির পরিচয়। ৭৫ বছর বয়সি সুভাষচন্দ্র রায়ের পরিবারের দাবি, তাঁদের বাড়িতে পাঁচজন সদস্যই আছেন।
সুভাষবাবুর পরিবারে তাঁর দুই ছেলে রয়েছে। শান্তনু নামে পরিবারের কেউ নেই। এই কথা স্পষ্ট জানানো হয়েছে রায় পরিবারের তরফে। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এল সেই অতিরিক্ত ফর্ম। পরিবারের অন্যান্য পাঁচ সদস্যের ফর্ম যথাযথভাবে বিএলও-র কাছে জমা করা হলেও, ‘ভুতুড়ে’ শান্তনুর ফর্ম জমা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। বিজেপি কর্মী গোবিন্দ রায়ের প্রশ্ন, যে ব্যক্তি পরিবারের কেউ নয়, তাঁর নামে বাবার সন্তান হিসেবে ফর্ম এল কীভাবে? এই নাম সিলমোহর পেলে ভবিষ্যতে সম্পত্তি নিয়ে সমস্যাও তৈরি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে শান্তিপুরের বিডিও জানিয়েছেন।
এমনই আরেকটি ঘটনা সামনে আসে মুর্শিদাবাদে। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের লালগোলার দেওয়ানসরাইয়ের বাসিন্দা নুরাল শেখ। বয়স ৭০ বছর। তাঁর তিন মেয়ে, দুই ছেলে। সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্ত্রীও মারা গিয়েছেন নুরালের। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল জীবন। এসআইআরের (West Bengal SIR) ফর্ম জমা দিতেই বাঁধে গোল। নুরালের ছেলেরা জানতে পারেন, বাবু শেখ নামে বছর ৪০-এর একজন ফর্ম পূরণ করেছেন, যার বাবার জায়গায় নাম দেওয়া নুরালের। বাবার ‘কুকীর্তি’ ফাঁস হতেই রেগে আগুন সন্তানেরা। এমনিতেই সম্পত্তির পাঁচ ভাগীদার। আরও একজন বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় চরমে পারিবারিক কলহ। যদিও, নুরাল শেখ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন সকলকে বোঝানোর যে ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। বাবু শেখ তাঁর সন্তান নয়।