এ বার থেকে ছুটির দিন আর মজুরি নয়। কৃষ্ণনগর পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালু হলো ১ ডিসেম্বর থেকে। পুরসভার কোষাগারের হাল ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমাশাসক ও পুরসভার বর্তমান প্রশাসক শারদ্বতী চৌধুরী। অর্থাৎ আর সাত দিনের টাকা নয়, জানিয়ে দেওয়া হলো। একই সঙ্গে কোনও ছুটির দিনের টাকাও আর পাবেন না তাঁরা।
টানা কয়েক বছর ধরেই পুর কোষাগার ধুঁকছে বলে অভিযোগ। তার উপরে কাউন্সিলারদের মধ্যে সম্পর্কও অম্লমধুর। তাতেও নানা সমস্যার উদ্রেক হয় বলে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে। পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের অনেকেরই।
সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দলীয় কাউন্সিলারদের আলোচনার জন্য কলকাতায় ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এর পরেই শারদ্বতী চৌধুরীকে পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। দায়িত্ব পেতেই রাজ-শহরের পুরসভার হৃতগৌরব ফেরাতে উদ্যোগী তিনি।
সূত্রের খবর, পুরসভার সব বিভাগ মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা ১৩২৬। এর মধ্যে স্থায়ী মাত্র ২৯১ জন। বাকি সকলেই অস্থায়ী। অনেকেই কাজ না করেও বেতন পান, এমন অভিযোগ উঠেছে। প্রতি মাসে অস্থায়ী কর্মীদের প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা বেতন দিতে হয় বলে খবর। অস্থায়ী কর্মীদের মজুরির পুরোটাই পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে হয়। তাই রাশ টানা হচ্ছে বলে খবর।
এ প্রসঙ্গে শারদ্বতী চৌধুরী জানিয়েছেন, অস্থায়ী কর্মীদের ৩১ দিনের মজুরি বা বেতন কোথাও হয় না। শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর পুরসভাতেই দেওয়া হচ্ছিল। কোষাগারের অবস্থা ভালো নয়। হাল ফেরাতেই এই সিদ্ধান্ত। সবটাই হচ্ছে পুরআইন বা সরকারি নিয়ম মেনে।