• একের পর এক নির্দেশ দিয়েই চলেছে কমিশন
    আজকাল | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ এক এক দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একের পর এক নির্দেশ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার তারা জানাল যে সব ভোটারের নাম, পরিচয় বদলে গিয়েছে, তাঁদের তথ্য পুনরায় যাচাই করতে হবে। সমস্ত বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও), ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)–কে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কমিশন সূত্রে খবর, নতুন এন্ট্রিতে অনেক ভোটারের নাম কিংবা বাবার নাম বদলে গিয়েছে। ২০০২ সালের তালিকায় যে নাম ছিল, আর এখন যে নাম রয়েছে, দুইয়ে মিল নেই। এই সব ভোটারের তথ্য ফের যাচাই করে দেখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তথ্যে কোথায় গলদ রয়েছে, তা পুনরায় খতিয়ে দেখবেন বিএলও, ইআরও–রা।

    এটা ঘটনা, সোমবারই বিএলও এবং ইআরও–দের এনুমারেশন ফর্মের ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের তথ্য এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে এবার তা সংশোধন করা যাবে। জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)–এর জন্য যে অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে এই ভুল সংশোধনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা।

    এদিকে, কমিশনের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২২০৮টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। অর্থাৎ, ওই সব বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ধরনের বুথ যে সমস্ত জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানকার ৭৬০টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে ফেরত এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া। সেখানে ২২৮টি বুথে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মুর্শিদাবাদ (২২৬) ও মালদহ (২১৬)। একেবারে শেষের দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার (৩), কোচবিহার (২), দার্জিলিং (২), কালিম্পং (১), উত্তর কলকাতা (১) এবং পশ্চিম বর্ধমান (১)।

    তবে এই ২২০৮টি বুথ ছাড়াও রাজ্যে এমন বহু বুথ রয়েছে যেখানে হাতে গোনা কয়েকটি এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসেনি। বাকি প্রায় সমস্ত ফর্মই জমা পড়েছে। একটি মাত্র ফর্ম ফেরত আসেনি এমন বুথের সংখ্যা ৫৪২। দু’টি ফর্ম জমা পড়েনি এমন বুথ রয়েছে ৪২০টি। সেই হিসাবও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

    ‌‌
  • Link to this news (আজকাল)