আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষীয়ান সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য সাম্মানিক ডি.লিট. উপাধি দিল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে দ্বিতীয় সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থেকে উপাধি গ্রহণ করতে পারেননি লেখক। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ডি.লিট. উপাধির শংসাপত্র, উত্তরীয় ও উপহারসামগ্রী তাঁর হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রূপ কুমার বর্মণ, পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক ড. শিবাজী পাণ্ডা এবং ইতিহাস বিভাগের প্রধান ড. শংকরকুমার বিশ্বাস মহাশয়।
মাননীয় উপাচার্য রূপ কুমার বর্মণ জানালেন, "বাংলা সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে ও আচার্য তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অনুমোদনের ভিত্তিতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি.লিট. উপাধি প্রদান করা হলো।"
আজকাল ডট ইন-এর পক্ষ থেকে সাহিত্যিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, " এর আগেও পেয়েছি ডিলিট৷ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ডিলিট দিয়েছে৷ একটু বেশি বয়সে দেওয়া হলো। আমি যেতে পারিনি। ওরা বাড়িতে এসে দিয়ে গিয়েছে৷ ভালোই লেগেছে।"
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাহিত্য জীবন অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিনি বিভিন্ন ধারার সাহিত্য রচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপন্যাস, ছোটগল্প এবং কিশোর সাহিত্য। তাঁর রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বাস্তবতার সঙ্গে সূক্ষ্ম হাস্যরস এবং গভীর জীবনবোধের মিশ্রণ। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, 'পার্থিব', 'মানবজমিন', 'দূরবীন', 'গয়নার বাক্স', 'খড়কুটো' ইত্যাদি উপন্যাস। পাশাপাশি তিনি শিশুদের জন্যও অসংখ্য জনপ্রিয় বই লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি', 'বনি', 'ভুতুড়ে', 'গোসাঁইবাগানের ভূত' ইত্যাদি ।
তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গবিভূষণ সম্মাননা। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডি.লিট. দিয়ে তাঁর সাহিত্যকর্মের অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি দিল।