• কসবা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়! বড় আপডেট
    আজকাল | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কসবা অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের ধোঁয়াশা অব্যাহত। তরুণী অভিযোগ করলেও তদন্তের পথে তৈরি হচ্ছে একের পর এক প্রশ্নচিহ্ন। সূত্রের খবর তেমনটাই। তথ্য, মেডিক্যাল পরীক্ষায় সম্মতি দিচ্ছেন না তরুণী, বয়ান বারবার বদলে যাচ্ছে, আবার অভিযোগ তুলবেন নাকি রাখবেন— তা-ও স্পষ্ট করছেন না অভিযোগকারী নিজেই। ফলে তদন্ত আরও জটিল হয়ে উঠছে বলে লালবাজার পুলিশ সূত্রে খবর।

     তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার পুনর্গঠন করতে তরুণীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সরাসরি কিছু না জানালেও বারংবার টালবাহানা করছেন, কোনওরকম সহযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন না। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও, কোথায় তাঁকে গাড়িতে তোলা হয়েছিল বা ঠিক কোন পথ ধরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই তথ্য দেননি স্পষ্ট করে। কিন্তু কেন তিনি এমন করছেন প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। তবে কি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় কোন রহস্য? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    এদিকে পুলিশের হাতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েনি কোনও অপহরণের দৃশ্য। অভিযোগ অনুযায়ী যে সময়ে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলা হয়েছিল, সে সময়ে তেমন কিছু দেখা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এমনকী যে রুট ধরে ময়দান পর্যন্ত তাঁকে আনা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে, সেই রুটেও কোনও সন্দেহজনক চলাচলের প্রমাণ মেলেনি। উল্লেখযোগ্য বিষয়, নির্যাতিতার ঘটনাস্থল পর্যন্ত সঠিকভাবে দেখানোর জন্য অসহযোগিতার কারণে ও সিসিটিভি ফুটেজের সঠিক তথ্য উদ্ধার নিয়ে পুলিশ যথেষ্ট ধন্দে।

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, তরুণীকে আবার ডেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি সেভাবে সহযোগিতা করতে চাননি বলেই লালবাজার পুলিশ সূত্রে খবর।

    এর মধ্যেই ঘটনায় আলতাব হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। ঘটনাস্থলেও নাকি তিনি ছিলেন না, দাবি করেছেন তেমনটাও। আলতাবের বয়ানের সঙ্গে ওই দিনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন মিলিয়ে দেখা হচ্ছে, বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও অধরা বাকি দুই অভিযুক্ত বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।

    অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি, তরুণীর ব্যক্তিগত পরিস্থিতি ও গতিবিধি বোঝার জন্য ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও চাওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য।

    পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “অভিযোগটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিন্তু নির্যাতিতা নিজেই কোনও সহযোগিতা করছেন না। অভিযোগকারী নিজেই যদি সহযোগিতা না করেন, তদন্ত এগোনো কঠিন হয়ে যায়।”

    প্রথমে ওই তরুণী অভিযোগ করেছিলেন, গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর পরিচিত এক যুবক হঠাৎই তাঁকে জোর করে একটি গাড়ির ভেতর বসিয়ে নেয়। গাড়ির ভিতরে ওই যুবকের সঙ্গে আরও দুই বন্ধু উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় তিনজন মিলে তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত করে ও শ্লীলতাহানি করার চেষ্টাও করে। আচমকা এই হামলায় তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট লাগে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর দাবি, শুধু মারধরই নয়—গাড়ির মধ্যে তাঁর সামনেই মত্ত অবস্থায় অশালীন আচরণও করা হয়। অভিযুক্তরা তাঁকে অশালীনভাবে স্পর্শ করে এবং কুরুচিপূর্ণ, অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিতে থাকে। ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়, এবার ওই ঘটনায় নয়া মোড়। 
  • Link to this news (আজকাল)