সিইও দপ্তরে শুভেন্দু, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
কয়েকদিন ধরে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দপ্তরের সামনে অবস্থান করছেন বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্যেরা। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে সিইও দপ্তরে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সিইও দপ্তরে পৌঁছতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্যরা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। অন্যদিকে পাল্টা স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরাও। দুই পক্ষ তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সোমবার শুভেন্দু সিইও দপ্তরে পৌঁছোনোর আগে ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। শুভেন্দুকে দেখা মাত্রই সিইও দপ্তরের সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। শুভেন্দুকে দেখে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। বিক্ষোভ সত্ত্বেও শুভেন্দু সহ বিজেপির প্রতিনিধিদল সিইও দপ্তরের ভিতরে প্রবেশ করে। সেই সময় দপ্তরের বাইরে চরম বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তাঁরাও ভিতরে প্রবেশের দাবি জানাতে থাকেন। তাঁরা জানান, তাঁরাও সিইও দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিতে চান।
Advertisement
এদিন সিইও দপ্তরের ভিতরে গিয়ে মনোজকুমার আগরওয়ালের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেন শুভেন্দুরা। একটি দাবিপত্রও জমা দেন তাঁরা। শুভেন্দুদের দাবি, সুপার টাইমার আইএএসদের বাদ দিতে হবে। ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার তথা ইআরও-দের এসডিও র্যাঙ্ক না থাকলে বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশি মুসলিমদের নাম বাদ দিতে হবে। আই প্যাকের বিরুদ্ধেও কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। পাঁচ হাজার বিএলও-র বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু। দু’মাস হয়ে গেলেও কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, বিএলও-দের উপর চাপ তৈরি করে তাঁদের কাছ থেকে ওটিপি নিয়ে মৃত, অন্যত্র চলে যাওয়া এবং বাংলাদেশি মুসলিম, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম তালিকায় রেখে দিচ্ছে আইপ্যাক। এর প্রমাণও আছে। ১৭ হাজার ১১টি বুথের অভিযোগ, সিরিয়াল নম্বর এবং ডেটা সিইও ও স্পেশাল অবজার্ভারকে দেওয়া হয়েছে। ফিজিক্যাল ফেরিফিকেশন এবং টেকনোলজি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ফিল্টার করার চেষ্টা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। ১৪ ডিসেম্বরের পরে যে হিয়ারিং হবে, সেখানে লাইভ সিসিটিভি কমিশনের কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। সিসিটিভি বন্ধ করে একটি হিয়ারিংও হবে না। এটি শুভেন্দুরা লিখিত অর্ডার করেছেন। তার ভিত্তিতে আশ্বাসও দিয়েছে কমিশন।