অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্য়ায়: কমিশনের নির্দেশেও হোলদোল নেই রাজ্যের! চলতি মাসেই ঠিকানা বদলাচ্ছে রাজ্যের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের। দফতরটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ড রোডে সিপিং কর্পোরেশনের অফিসে। নিজেই একথা জানালেন রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক(CEO) মনোজ কুমার আগরওয়াল।
কমিশন সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগেই কলকাতায় এসে স্ট্যান্ড রোডে সিপিং কর্পোরেশনের অফিসে পছন্দ করে গিয়েছিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। তারপর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। CEO মনোজ কুমার আগরওয়াল বলেন, 'অতি শীঘ্রই এই অফিস ছাড়তে চলেছি। জুলাই মাসেই অফিস অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বলছে কমিশন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। রাজ্যের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি। অগত্যা কমিশন নিজেই সিপিং কর্পোরেশনের কলকাতাস্থিত বাড়িতেই ভাড়া নিয়ে চলে যাচ্ছে'।
SIR-র কাজের চাপে অভিযোগে তুলে আন্দোলনে নেমেছেন BLO-রা। তৈরি হয়েছে BLO অধিকার রক্ষা কমিটি। যে আন্দোলনে আঁচ পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও। রাজ্যর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরের সামনে ধরনায় বসেছিলেন BLO অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্যরা। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিকের দপ্তরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। সেকারণেই দফতরটি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য় পুলিসের ডিডি ও কলকাতার পুলিস কমিশনারকে BLO-দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এদিকে রাজ্যে SIR-র সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। ৪ ডিসেম্বর নয়, ফর্ম জমা নেওয়ার জমা দেওয়া যাবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লক্ষ ফর্ম জমা নেওয়া বাকি। খসড়া তালিকায় ৫০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা।