• ‘কবরস্থান ছিল, সেখানেই বাড়ি করেন প্রয়াত CPM নেতা’, অশোকনগর খুলি কাণ্ডে সাফাই লালপার্টির
    প্রতিদিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: অশোকনগরে (Ashoknagar) প্রয়াত সিপিএম নেতার জমি খুঁড়তেই খুলি-হাড় উদ্ধারের ঘটনায় তুঙ্গে বিতর্ক। স্থানীয় বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর দাবি, “এটা সিপিএমের হার্মাদদের কলঙ্কিত ইতিহাস।” যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ‘শূন্য’ সিপিএম। খুলি কাণ্ডে তাঁদের সাফাই, “বহুবছর আগে কবরস্থান ছিল ওই জায়গা। সেখানেই নাকি বাড়ি করেছিলেন প্রয়াত নেতা।”

    অশোকনগর পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণগড় স্বামীজি সংঘ ক্লাব সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন প্রয়াত সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁর বেডরুম ভেঙে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করেন মেয়েরা। সেই কাজেই রবিবার সকালে মাটি খুঁড়তে উদ্ধার হয় খুলি-হাড়। এই খবর জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেই খুলি ও হাড় সংগ্রহ করে ফরেনসিক এবং ডিএনএ প্রোফাইল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। একইসঙ্গে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল প্রশাসন।

    এপ্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, “বহু বছর আগে ওই এলাকা কবরস্থান ছিল। সেকারণে হাড়গোড় উদ্ধার হতে পারে।” এরপরই জমির ইতিহাস জানতে পুলিশের তরফে বিএলআরও’কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, রবিবার খুলি-হাড় উদ্ধারের পর বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেছিলেন, “সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়ের বেডরুমের মাটি খুড়েই কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। তাঁর ভাই সমীর মুখোপাধ্যায়ও সিপিএম করত। বাম জমানায় এরা ত্রাস ছিল। আশি-নব্বইয়ের দশকে এদের কথাই ছিল শেষ কথা। এটা ওদেরই কদর্য ইতিহাস। তৎকালীন সময়ে যাঁরা কংগ্রেস করত কঙ্কালগুলি তাদেরই বলে আমরা অনুমান করছি। আরও কত কঙ্কাল বাড়ির চৌহদ্দিতে থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করেছে। বিজন, সমীররা জীবিত নেই। তাদের সাগরেদ জগদীশ সমাদ্দার, খগেন নন্দী এখনও জীবিত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)