গোবিন্দ রায়: সুপ্রিম রায় মেনে সম্প্রতি রাজ্যে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের যে পরীক্ষার আয়োজন করেছিল SSC তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হাই কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। তাঁর মধ্যে রয়েছে অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর সংক্রান্ত মামলাও। সোমবার সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করলেন, “যারা নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া যুক্তিযুক্ত?
নিয়োগ পদ্ধতি অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করে চলতি বছরের এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে চাকরি হারান ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নতুন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মতো পরীক্ষা হয়। ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতার জন্য যোগ করা হয়েছে ১০ নম্বর। তবে শুধুমাত্র যারা সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তাঁরাই এই নম্বর পেয়েছেন। যারা স্বাস্থ্যদপ্তরে কর্মরত ছিলেন তাঁদেরও পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে বেসরকারি স্কুলে কর্মরতরা বা নতুন পরীক্ষার্থীরা এই নম্বর পাননি। যা নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।
সোমবার একটি মামলার শুনানিতে অভিজ্ঞতার নম্বর নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “যারা নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকতা করেছেন তাদের একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? পাশাপাশি, যারা প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নম্বর দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?”