বঙ্গে তালিকায় নাম পাওয়া যাচ্ছে না ৪৩ লক্ষ ভোটারের! কী বলছে কমিশন?
প্রতিদিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সুদীপ রায়চৌধুরী: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ সাতদিন পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যজুড়ে এসআইআর ফর্ম ডিজিটাইজেশনের পর চলছে আপলোড প্রক্রিয়া। তার মধ্যেই বড় তথ্য দিল কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকার এখনও পর্যন্ত ৪৩ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটারের নাম বাদ পড়েছে! এর মধ্যে ২১ লক্ষ ৪৫ হাজার মৃত ভোটার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ৫৩ হাজার। স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা সোমবার পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার। এছাড়াও ৯৮ হাজার ৬০০ ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের প্রায় প্রায় সাত হাজার বুথের আপলোড হওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবার কমিশন থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই মোতাবেক বিএলও-দের আপলোড করা তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের ২২০৮টি বুথে একটিও ‘আনকালেক্টেবল’ বা অসংগৃহীত ফর্ম নেই। যার মানে ওই বুথগুলিতে গত একবছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি! কোনও ভোটার নিখোঁজ হননি বা বাইরে চলে যাননি! এই ঘটনা কার্যত ‘অবাস্তব’। এমনই মনে করছে কমিশন।
যে বুথগুলিতে কোনও ‘আনকালেক্টেবল’ মেলেনি, তার মধ্যে সব থেকে বেশি বুথ দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মোট সংখ্যা ৬০৮টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া। এখানে বুথের সংখ্যা ২২৮টি। মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও নদিয়ায় আনকালেক্টেবল বুথের সংখ্যা ২২৬, ২১৬ ও ১৩০। বাঁকুড়ায় আছে ১০১টি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আনকালেক্টেবল ফর্ম থাকার তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতা। ১৯.৩৮ শতাংশ। উত্তর কলকাতায় এই সংখ্যাটা ১৯.১২ শতাংশ। বসিরহাট উত্তরে সব থেকে বেশি ডিজিটাইজেশন হয়েছে, ৯৬.০৫ শতাংশ। সব থেকে কম ডিজিটাইজেশন হয়েছে ভাটপাড়ায়, ৭৪.০৯ শতাংশ। আনকালেক্টেবল ফর্ম সব থেকে বেশি বারাকপুরে, ১৫.৬২ শতাংশ। আনকালেক্টেবল ফর্ম সব থেকে কম বসিরহাট উত্তরে, ৩.৩৭ শতাংশ।
এদিকে এদিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিএলও এবং ইআরও-দের এনুমারেশন ফর্মের ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের তথ্য এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে এ বার তা সংশোধন করা যাবে। এসআইআরের জন্য যে অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে এই ভ্রম সংশোধনের কাজ সেরে ফেলতে হবে।