দেশে বেকারত্ব কমছে, অভিষেকের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জানাল কেন্দ্র, আশা কর্মীদের নিয়ে প্রিয়াঙ্কার প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী
বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: উচ্চ হারে ইপিএফ পেনশন দেওয়া থেকে আশা কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা। কিংবা দেশব্যাপী বেকারত্বের হার এবং তাতে পুরুষ ও মহিলার চিত্র। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কংগ্রেস এমপি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে আরএসপির এন কে প্রেমচন্দ্রন এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন। বিরোধী সাংসদদের ওই প্রশ্নের লিখিত জবাব সোমবার দিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। দিয়েছে, তাতে দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের কিংবা কর্মপ্রার্থীদের প্রতি কেন্দ্রের মোদি সরকার আদৌ কতটা সচেতন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সারা দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে লোকসভায় লিখিত প্রশ্ন ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের। এব্যাপারে বিগত পাঁচ আর্থিক বছরের বেকারত্বের হার সম্পর্কেও তিনি লিখিত প্রশ্ন রেখেছিলেন। কেন্দ্রীয় শ্রম রাষ্ট্রমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে তার লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ আর্থিক বছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সারা দেশে বেকারত্বের হার ক্রমশ কমেছে। ৪.৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.২ শতাংশ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একইসঙ্গে শহরাঞ্চল এবং গ্রামীণ এলাকায় নারী-পুরুষের বেকারত্বের হার সম্পর্কেও লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, শহুরে এলাকায় মহিলাদের বেকারত্বের হার বহুগুণ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের গ্রামীণ এলাকায় যেখানে মহিলা বেকারত্বের হার ২.১ শতাংশ। সেখানে শহরাঞ্চলে এর হার ৭.১ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই মহিলা কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকার কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লোকসভায় লিখিতভাবে প্রশ্ন করেছিলেন, আশা কর্মীদের ‘ফর্মাল-এমপ্লয়িজ’ হিসেবে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্র তাঁদের যাবতীয় সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার আওতায় আনছে কি না। লিখিত জবাবে নির্দিষ্ট করে এপ্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। পরে এবিষয়ে টুইট করে প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন, আশাকর্মীরা স্বাস্থ্য পরিষেবার মেরুদণ্ড। অথচ তাঁদের সামাজিক সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
উচ্চ হারে পেনশনের জন্য মোট আবেদন ছিল ১৭ লক্ষ ৪৯ হাজার। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃপক্ষ ইপিএফওর কাছে পাঠিয়েছে ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার আবেদনপত্র। অথচ পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) জারি হয়েছে মাত্র ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৫৭টি আবেদনের ক্ষেত্রে। আরও মাত্র ১২ হাজার ৫৭২টি পিপিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে। উচ্চ হারে ইপিএফ পেনশন প্রদান নিয়ে সোমবার লোকসভায় এমনই উদ্বেগজনক লিখিত জবাব দিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় শ্রম রাষ্ট্রমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে জানিয়েছেন, গত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইপিএফওর কাছে এ সংক্রান্ত যত আবেদন এসেছিল, তার ৯৯ শতাংশ নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে।