• সস্তার চীনা কম্বলের দাপটে মনমরা কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মালদহ: এখনও জাঁকিয়ে পড়েনি। কিন্তু জেলার হাড় কাঁপানো ঠান্ডার কথা মনে রেখে ইতিমধ্যে লেপ তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন অনেকে। একই সঙ্গে বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে কম্বলেরও। দিনে তিন থেকে চারটি লেপ তৈরির বরাত আসছে ধুনকরদের কাছে। ব্যবসা জমে ওঠায় খুশি তাঁরা। তবে লেপ তৈরি করানোর ঝামেলায় না গিয়ে অনেকেই আবার কিনছেন রেডিমেড বাহারি কম্বল। মালদহে কম্বল বিক্রি করতে আসতে শুরু করেছেন কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা। তবে, সস্তার চীনা কম্বলের দাপটে তাঁদের কম্বলের চাহিদা কমে যাওয়ায় খানিকটা মনমরা তাঁরা। 

    সন্তোষ মণ্ডল, বিশু চৌধুরী, বাহারুদ্দিন, শাহ আলমরা শীতের শুরুতেই লেপ তৈরির অস্থায়ী আস্তানা গড়েন মালদহ শহরে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে লেপ তৈরির কাজ। মরশুমে প্রায় পাঁচশো লেপ বিক্রি করেন একেক জন। দিনে চার থেকে পাঁচটি লেপ তাঁরা বানিয়ে ফেলেন। দাম পড়ে বারোশো থেকে আঠারোশো টাকার মধ্যে। তুলো এবং সেলাইয়ের মানের উপর পার্থক্য হয় লেপের দামে। শাহ আলম বললেন, লোকের মুখে শুনছি এবার নাকি হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়বে। তাই এবার লেপ তৈরির বরাতও বেশি মিলবে। সারা বছর তোষক, বালিশ তৈরি করে বিক্রি করা ওই কারিগরদের এখন ব্যস্ততা লেপ তৈরি ঘিরেই।

    তবে লেপ বানানোর ঝামেলা যাঁরা যেতে চান না, তাঁদের অনেকে কাশ্মীর থেকে আসা বাবর আজম, গুলাম লোনদের দোকানে ঢুঁ মারছেন। ব্যবসায়ীরা জানালেন, বারোশো থেকে দু’হাজার টাকায় মিলছে উন্নত মানের কম্বল। ওই কম্বল তৈরি করা কাশ্মীরেই। লুধিয়ানার কম্বল বিক্রি করেন না তাঁরা। 

    একই সঙ্গে ওই কম্বল ব্যবসায়ীদের আক্ষেপ, চাইনিজ কম্বল বিক্রেতাদের দাপটে তাঁদের বিক্রি কমেছে। কিন্তু কাশ্মীরের কম্বলের মান ও উষ্ণতা আলাদা। বছরে প্রায় হাজারখানেক কম্বল বিক্রি করেন তাঁরা। শীতে বিয়ের মরশুমে বিক্রি বাড়ে। নভেম্বরের শুরুতেই  তাঁরা মালদহে চলে আসেন কম্বলের পসরা নিয়ে।  বাজারে বিক্রি হচ্ছে নকশা করা কম্বল।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)