• জট কাটেনি, ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি চান সন্দীপ
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জট কাটেনি। ফলে সোমবারও পুরসভায় এলেন না সন্দীপ মাহাত। জলপাইগুড়ি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানের চেম্বার তালাবন্ধ। সূত্রের খবর, গত ২৬ নভেম্বর থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিবাদ চললেও এখনও গোঁসা কমেনি সন্দীপের। চেয়ারম্যানের ফোনও রিসিভ করছেন না তিনি। উল্টে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন সন্দীপ। বিষয়টি তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর সেখান থেকে নতুন করে কোনও বার্তা না এলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পুরসভায় পা রাখতে নারাজ সন্দীপ মাহাত। তাঁর বক্তব্য, দলের রাজ্য নেতৃত্ব জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নাম পাঠিয়েছিল। ফলে আমি তাদের কাছে কারণ জানিয়ে ওই পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। এবার দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে বার্তা না এলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পুরসভায় যাব না। তবে কাউন্সিলার হিসেবে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

    সন্দীপের দাবি, চেয়ারম্যান হিসেবে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। এর আগে আমি অনেক চেয়ারম্যানের অধীনে কাজ করেছি। আমি জানি, চেয়ারম্যানের কী ক্ষমতা আর ভাইস চেয়ারম্যানের কী কাজ। তবে সবটা আমিই করব, এই একনায়কতন্ত্র মোটেই ঠিক নয়।

    ভাইস চেয়ারম্যান প্রসঙ্গে অবশ্য এদিনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পুরসভার কাজকর্ম যেমন চলার ঠিকই চলছে। প্রতিটি বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বলে দেওয়া হয়েছে, মানুষ যেন পুরসভায় এসে হতাশ হয়ে ফিরে না যান। মানুষজনকে অযথা বসিয়ে রাখা কিংবা হয়রান করা যাবে না। সবার আগে পরিষেবা দিতে হবে। সারাদিন পুরসভায় থেকে আমি নিজেও সেটাই করছি।

    নতুন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল কবে গঠিত হবে? চেয়ারম্যানের জবাব, সময় হলেই সবটা জানিয়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে নাম না করে সন্দীপকে তাঁর খোঁচা, আমিও তো ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে চারমাস দপ্তরহীন ছিলাম!

    পুরসভার অন্দরের খবর, শপথগ্রহণের কয়েকদিন পর থেকেই জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, ভাইস চেয়ারম্যানকে কিছু না জানিয়ে চেয়ারম্যান একের পর এক সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেন। এর মধ্যে অন্যতম পূর্তবিভাগের কাজকর্ম। এর আগে জলপাইগুড়ি পুরসভার পূর্তবিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ছিলেন সন্দীপ মাহাত। এখন তিনি ভাইস চেয়ারম্যান। ফলে তাঁকে কার্যত কোণঠাসা করে পূর্তবিভাগের কাজের টেন্ডার থেকে অন্যান্য বিষয়ে চেয়ারম্যানের একতরফা সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সন্দীপ। এনিয়ে পুরসভার অন্দরে চেয়ারম্যানকে তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন, আমার তাহলে কাজ কি? শুধু আসব আর যাব, এটাই কি কাজ? এনিয়েই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় কাজিয়া। যদিও এ ব্যাপারে সৈকত ও সন্দীপ কেউই মন্তব্য করতে নারাজ। • বন্ধ ভাইস চেয়ারম্যানের চেম্বার। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)