• চাকরি না মেলায় ১৮ বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়িতে তালা, দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনা চলছে ভাড়াবাড়িতে
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: কথা দিয়েও রাখেনি তৎকালীন বাম সরকার। জমিদাতার স্ত্রীর চাকরি না হওয়ায় ১৮ বছর ধরে তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ জমিদাতার বিরুদ্ধে। বাধ্য হয়েই বছরের পর বছর ধরে পাশের একটি বাড়িতেই চলছে শিশুদের ওই কেন্দ্রটি। সরকারি অর্থে তৈরি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র জোর করে আটকে রাখা হলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

    ২০০৮ সাল থেকেই শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা- বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে দিনহাটার ভেটাগুড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রুয়েরকুঠি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। অভিযোগ, প্রচণ্ড ঠান্ডায় অন্যের বাড়ির উঠোনেই খোলা আকাশের নীচে খাবার খাচ্ছে ছোট ছোট শিশুরা। বর্ষার সময় সমস্যা আরও প্রকট হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা শিশু ও প্রসূতি মায়েদের বসার কোনও জায়গা না থাকায় ঝড়-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শৌচালয় নেই। অবিলম্বে সমস্যা মিটিয়ে কেন্দ্রটি চালুর দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির জন্য ২০০৭ সালে জমিদান করেন চন্দ্রকান্ত বর্মন। সেখানে কেন্দ্রটি নির্মাণ করে সবরকম পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। কিন্তু সেসময় চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও চন্দ্রকান্ত বর্মনের স্ত্রীর হেল্পার পদে চাকরি হয়নি। তখন থেকেই ওই কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেন জমিদাতা।

    জমিদাতা চন্দ্রকান্ত বর্মন বলেন, স্ত্রীকে ওই কেন্দ্রে হেল্পার পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। ২০০৭ সালে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন স্ত্রী। সেই কাগজপত্রও আছে আমার কাছে। সেজন্যই আমি জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরি আর দেয়নি। আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি মতো স্ত্রীর চাকরি না হওয়ায় বাধ্য হয়েই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।

    দিনহাটার মহকুমা শাসক ভারত সিং বলেন, বিষয়টি নিয়ে সিডিপি-র সঙ্গে কথা বলে দ্রুত একটি বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। • নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)