দীর্ঘদিন একাধিক সাবমার্সিবল খারাপ, জলসঙ্কট কানতুর্কা পঞ্চায়েত এলাকায়
বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, হবিবপুর: একাধিক পানীয় জলের সাবমার্সিবল খারাপ। জল প্রকল্পের পাইপলাইন কিছু এলাকায় পৌঁছলেও বাকি কাজ থমকে বলে অভিযোগ। ফলে পানীয় জলের চরম সংকটে হবিবপুর ব্লকের কানতুর্কা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা।
কানতুর্কা এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের স্তর অনেক নীচে। টিউবওয়েল বসাতে অনেক খরচ হয় বাসিন্দাদের। দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিকদের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। স্বাভাবিকভাবে পানীয় জলের ক্ষেত্রে সরকারি সাবমার্সিবলের উপর ভরসা করতে হয় তাঁদের। এলাকায় একের পর এক সাবমার্সিবল কয়েক বছর খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে, আশেপাশের হাতেগোনা কয়েকটি সচল সাবমার্সিবল থেকে জল এনে পান করছেন বাসিন্দারা। পিএইচই’র আধিকারির জিয়াউর রহমান বলেন, কাজ বন্ধ নেই। আশা করছি শীঘ্রই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলেন বাসিন্দারা। এই প্রকল্পের পাইপলাইন বসানোর কাজও অনেকটা শেষ হয়েছে। তবে, জল এখনও পৌঁছয় না বাড়িতে। এদিকে একের পর এক সাবমার্সিবল খারাপ হচ্ছে বলে সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই বলে অনেকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে পানীয় জল নিয়ে আসেন। দিনের পর দিন পরিস্থিতির খারাপের দিকেই যাচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় কর্মকারের কথায়, বরাবর পানীয় জলের সমস্যায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও নেতাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি মেলে। সাবমার্সিবলগুলি ঠিক করা হলে পানীয় জল পাবেন বাসিন্দারা। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। দ্রুত সমাধান না হলে ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুখী রানি সাহা বলেন, বাসিন্দাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে। নিজস্ব চিত্র