• নিম্নমানের সামগ্রীতে স্কুলের ক্লাসঘর নির্মাণ, প্রতিবাদীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: সরকারি টাকায় স্কুলে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে একজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা রফিকুল হাসান ওরফে রিন্টুর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসনে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, রফিকুল ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এক বাসিন্দা। 

    পরানপুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বলরাম মাহাতোর দাবি, স্কুলে কাজের মান নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের আপত্তি ছিল। এনিয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। এরপর স্কুলের বাইরে কোথায়, কী ঘটেছে জানি না। 

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের রতুয়া-২ ব্লকের পুখুরিয়া থানার পরানপুর হাইস্কুলে নতুন ক্লাসরুম তৈরি হচ্ছে। এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। সরকারি টাকা নয়ছয় করে নিম্নমানের কাজ চলছে বলে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবিষয়ে গত শুক্রবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে বাসিন্দাদের বচসা শুরু হয় এবং তিনি দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

    যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রফিকুল। উল্টে তাঁকে একা পেয়ে দশ-বারো জন মিলে মারধর করেছেন বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি। 

    রফিকুল বলেন, শুক্রবার স্কুলে একাই ছিলাম। ওঁরা ২০ থেকে ২৫ জন ছিলেন। তাঁরা আমার কাছে স্কুলের কাজের কাগজপত্র দেখতে চান এবং কাজ ভালো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। তখন তাঁদের ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এরই মধ্যে সুব্রত দাস নামে এক ব্যক্তি আমাকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তাঁকে কুকথা বলতে বারণ করলে আমার গলায় ধাক্কা দেন। কনুই দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। 

    স্কুল চত্বরে এই ঘটনার সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ রয়েছে বলেও দাবি করেন পরিচালন সমিতির সভাপতি। এদিকে সুব্রতর অভিযোগ, কয়েক বছর আগে স্কুলে নিম্নমানের কাজ নিয়ে গ্রামবাসীরা সরব হয়েছিলাম। এবারও একইভাবে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ চলছে স্কুলে। আমরা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলতে গেলে পরিচালন সমিতির সভাপতি বলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে। তখন তাঁর সঙ্গে আমার তর্কাতর্কি হয়।

    সুব্রতর আরও অভিযোগ, শনিবার রফিকুল রাস্তায় একা পেয়ে আমাকে মারধর করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। রফিকুলের নামে ব্লক অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছি।

    পুখুরিয়া থানার এক আধিকারিক বলেন, থানায় অভিযোগ হয়নি। ব্লক প্রশাসন থেকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। খতিয়ে দেখে সেটা পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)