• আজ বহরমপুরে মমতা শহরে কঠোর নিরাপত্তা, মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন হাজার হাজার মানুষ
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: আজ, মঙ্গলবার বহরমপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদর শহর কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বহরমপুরে সার্কিট হাউসে থাকবেন তিনি। বৃহস্পতিবার বহরমপুর স্টেডিয়ামে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। সেখান থেকে মালদহে গিয়ে একটি রাজনৈতিক সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জেলা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা এবং জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার তরফ থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এদিন দুপুর থেকেই বহরমপুর শহরে ভিড় জমাবেন। তবে আবহাওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার সফরের পাশাপাশি ট্রেনপথে আসার সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বহরমপুর ব্যারাক স্কয়ার ময়দানে হেলিপ্যাড প্রস্তুত করা হয়েছে। বিকল্প হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে না এসে ট্রেনেও আসতে পারেন। 

    সোমবার সকাল থেকেই জেলায় মেঘলা আকাশ। ঘন কুয়াশাও ছিল। দুপুরের দিকে বহরমপুর সদরে দু’-একপশলা বৃষ্টিও হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এমন আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার ওড়া যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাই বিকল্প হিসেবে কলকাতা স্টেশন থেকে ধনধান্যে এক্সপ্রেসে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে নামতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর স্টেশন থেকে গাড়িতে তিনি সার্কিট হাউসে আসবেন। সেখানে বিশ্রাম করার পর বুধবার হেলিকপ্টারে মালদহে পৌঁছবেন তিনি। 

    মুর্শিদাবাদের দুই সাংগঠনিক জেলার তরফ থেকে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে মুখ্যমন্ত্রী এলে দুপুর থেকেই ব্যারাক স্কয়ার ময়দানে প্রচুর মানুষের ভিড় হবে। সোমবার হেলিকপ্টারের ট্রায়াল রান হয়েছে। ট্রেনে এলে সন্ধ্যায় বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য বাড়তি ভিড়ের আশঙ্কা করছে পুলিশ। স্টেশন থেকে সার্কিট হাউস, এই এক কিলোমিটার রাস্তার দু’ধারে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাতে পারে। তাই আগেভাগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। 

    বহরমপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, দিদি হেলিকপ্টারে এলে বহরমপুর ব্যারাক স্কয়ার ময়দানে প্রচুর মানুষের ভিড় হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা দিদিকে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তবে আবহাওয়ার কারণে ট্রেনে করে এলে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য স্টেশন চত্বরেও ভিড় করবেন নেতা-কর্মীরা। স্টেশনের স্বল্পপরিসরে ব্যাপক জমায়েত হলে বিপত্তি হতে পারে। সেদিকটাও আমরা খেয়াল রাখছি। পুলিশ- প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

    জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে এলে আমরা তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে পারব। কিন্তু ট্রেনে এলে সেটা সম্ভব হবে না। তবে বেশকিছু নেতা-কর্মী প্ল্যাটফর্মে হাজির থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেটাও আমাদের দেখতে হবে। তাই পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেই আমরা নেত্রীকে স্বাগত জানাব। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)