• গুমায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় যুবককে পিষে দিল ট্রাক
    বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সোমবার সকালে বেপরোয়া গতিতে আসা ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর রোডের উপর অশোকনগর থানা এলাকার গুমা চৌমাথায়। মৃতের নাম অপূর্ব ধর (৪০)। তাঁর বাড়ি বারাসতের নবপল্লিতে। এদিন তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। ঘাতক গাড়িকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, চালক ও খালাসি পলাতক। দুর্ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তা চওড়া করার দাবিতে গুমা চৌমাথায় যশোর রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা। টায়ার জ্বালিয়ে দফায় দফায় চলে অবরোধ। পরবর্তীকালে অশোকনগর থানার পুলিশ এসে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অপূর্ব পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর তিনমাসের এক সন্তান আছে।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপূর্বর শ্বশুরবাড়ি হাবড়ার রাউতারা এলাকায়। সোমবার বাইক নিয়ে সেখান থেকে বারাসতে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। গুমা চৌমাথায় সেই সময় কিছুটা যানজট ছিল। তিনি বাইক নিয়ে অপ্রশস্ত রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়েছিলেন। তখন বারাসতের দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে এবং বাইকটিকে টেনে হিঁচড়ে কিছুটা টেনে নিয়ে যায়। ওই যুবক ততক্ষণে ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে যান। ক্রেনের সাহায্যে অপূর্বকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় অবরোধ ও বিক্ষোভ। ব্যস্ততম যশোর রোডের উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অশোকনগর থানার পুলিশ। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। স্থানীয়দের দাবি, গুমায় যশোর রোড খুব অপ্রশস্ত। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তা চওড়া করা দরকার। স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেন বলেন, গুমা চৌমাথা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। অপ্রশস্ত হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। আমরা যশোর রোড সম্প্রসারণের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে, আরেক বাসিন্দা রেজাউল আলির কথায়, দুর্ঘটনার পর ওই যুবক বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করেছিলেন। কিন্তু গাড়ির চালক তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যায়। পরে গাড়ি ফেলে পালায়। অশোকনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)