আসন্নপ্রসবা সোনালি সহ ৫ জনকে জামিন দিল বাংলাদেশের আদালত
বর্তমান | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট ও নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলাদেশি সন্দেহে গত ২৬ জুন পুশব্যাক হওয়া বীরভূমের পাইকরের বাসিন্দা সোনালি বিবি সহ পাঁচজনকে সোমবার জামিনে মুক্ত করছে চাঁপাই নবাবগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। জামিন পেয়েছেন সোনালির স্বামী দানেশ শেখ ও তাঁদের পাঁচ বছরের ছেলে সাবির শেখ এবং মুরারইয়ের ধিতোরা গ্রামের বাসিন্দা সুইটি বিবি, তাঁর দুই পুত্র কুরবান শেখ ও পাঁচ বছরের ইমাম শেখ। তবে যে শর্তে সোনালি বিবি এবং বাকিদের জামিন হয়েছে, তাতে এখনই তাঁদের ভারতে ফেরার সম্ভাবনা কম। নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজিরা দেওয়াটা বাধ্যতামূলক হওয়াতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনালি বিবিদের প্রতিবেশী গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল শেখ। রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ সামিরুল ইসলামের প্রতিনিধি হিসেবে মফিজুল এখন চাঁপাই নবাবগঞ্জেই রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফারুক আলি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি সোনালি সহ বাকিদের জামিনদার হয়েছেন। তার ভিত্তিতে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মিলেছে। এদিন সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বীরভূমের ওই বাসিন্দারা। এই পর্বেই সামিরুল সাহেব সমাজমাধ্যমে লিখেছেন—কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর সোনালি বিবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিকে সোনালিকে দেশে ফেরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে যে আর্জি জানিয়েছিল, এদিন ছিল তার শুনানি। প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার মাধ্যমে কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছে, মানবিকতার খাতিরে আসন্ন প্রসবা সোনালিকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। মালদহ সীমান্ত দিয়ে তাঁকে ফেরানোর কথা বলেছে বেঞ্চ। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে দু’দিন সময় চেয়ে নেন সলিসিটর জেনারেল। অপরদিকে বাংলাদেশ আদালতে মেয়ের জামিনের খবর পেয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সোনালির বাবা ভোদু শেখ। তাঁর কথায়, ভারতীয় নাগরিক হয়েও, যদি বাংলাদেশি বলে পুশব্যাক করে এত কষ্ট দেওয়া হয়, তাহলে কোথায় বাস করলে শান্তি পাব! মায়ের জন্য অঝোরে কেঁদে চলেছে সোনালির ছ’বছরের মেয়ে আনিশা খাতুন। সেই নাতনিকে সামলাতে ব্যস্ত বৃদ্ধ ভোদু শেখ ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না বিবি।
গত ২৬ জুন দিল্লি পুলিস দুই পরিবারের ছয় সদস্যকে জোর করে অসমের ধুবড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে বলে অভিযোগ। দিল্লি পুলিস তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি ছিল, এরা বাংলাদেশি। অবৈধভাবে এদেশে প্রবেশ করে দিল্লির রোহিনীর ইটভাটায়
কাজ করছিল। দিল্লি পুলিশ যখন সোনালি সহ বাকিদের পাকড়াও করে তখন যাবতীয় ভারতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া সত্ত্বেও তাদের ছাড় মেলেনি। এরই মধ্যে